একদা এক গ্রামে ছিল এক হাতুড়ে ডাক্তার। সেই হাতুড়ে ডাক্তার এক রোগীকে দেখতে এসেছে। অন্যান্য ডাক্তাররা সেই রোগীটিকে দেখে বলে গেছেন অনেক দিন ভোগান্তি আছে বটে তবে ভয় করবার কিছুই নেই।
কিন্তু হাতুড়ে ডাক্তার তাকে পরীক্ষা করে বলল, “তোমার বৈষয়িক কাজকর্ম কিছু যদি থেকে থাকে তো তা সব মিটিয়ে ফেল। কারণ আমি বেশ বুঝতে পারছি বড় জোর কাল অবধি তোমার আয়ু।”
এই কথা বলে হাতুড়ে ডাক্তারটি বিদায় নিল। কয়েকদিন পরে অসুস্থ লোকটা বিছানা ছেড়ে বাইরে বেরিয়েছেন। শরীর তার দুর্বল, মুখ ফ্যাকাশে কোনো রকমে সে চলতে পারছিল।
তাকে দেখেই হাতুড়ে ডাক্তারটি বলে উঠল, “নমস্কার । তা ওখানকার (পরলোকের) খবর-টবর কী বলো?”
রোগী বলল, “খবর সব এক রকম ভালই। কারণ লিথে নদীর মিঠে জল প্রাণ ভরে খাওয়া যাচ্ছে।
তবে হ্যাঁ—একটা কথা— সেদিন—সেদিন যম আর নরকাসুরের মধ্যে যেসব কথা হচ্ছিল তাতে বুঝতে পারলাম এখানকার ডাক্তারদের ওপর তারা বড্ড রেগে রয়েছেন—কারণ ডাক্তাররাই তো লোকদের মরতে দিচ্ছে না।
অবশেষে তারা একটা লিস্ট তৈরি করে ফেললেন, যেসব ডাক্তাররা শাস্তি পাবার যোগ্য। তোমার নামটাও সেই লিস্টে উঠতে যাচ্ছিল আর কি!
আমি তখন তাদের সামনে নতজানু হয়ে অনেক অনুনয় করাতে তবে তাঁরা তোমার নামটা বাদ দেন।
আমি তখন তাদের কাছে দিব্যি করে বললাম, তোমাকে সত্যিকারের ডাক্তার বলে যারা প্রচার করেছে তারা ডাহা মিথ্যাবাদী।”
উপদেশ: হাতুড়েদের কখনও বিশ্বাস করতে নেই।