একবার এক আলুর গুদামে আগুন লেগেছিল। গোপাল সেই পথ দিয়ে যেতে যেতে তা দেখতে পেয়ে একটা মুদির দোকান থেকে একটু নুন চেয়ে নিল।
তারপর সেই গুদামের পোড়া আলু নুন সহযোগে দিব্যি খেতে লাগল।
কিছু দূরে গুদামের মালিক মাথায় হাত দিয়ে বসেছিল। গোপাল নুন দিয়ে আরামে পোড়া আলু খেতে-খেতে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে, “মশাই, আপনি কে? এরূপ দুঃখিত ভাবে মাথায় হাত দিয়ে বসেছেন কেন?”
লোকটি বললে, “আমি এই গুদামের মালিক। আমার চারটে আলুর গুদামের মধ্যে একটা পুড়ে সব শেষ হয়ে গেল। গ্রহের ফেরে খুব লোকসানের মধ্যে পড়ে গেলাম।”
গোপাল নির্বিকারভাবে তাকে জিজ্ঞেস করলে, “আচ্ছা আপনার বাদ-বাকি গুদাম যে তিনটি আছে সেগুলি কবে কবে পুড়বে বলতে পারেন? তাহলে আলু পোড়া খেতে পারব।”
গোপালের কথা শুনে আলুর গুদামের মালিক চটে উঠে লাঠি নিয়ে তাকে মারতে তাড়া করল। গুদাম পুড়ে যাওয়ায় বেচারার এমনিতেই মন-মেজাজ খারাপ, তার ওপর গোপালের এ-হেন অলুক্ষণে কথা!
বেগতিক দেখে গোপাল আর কোন কথা না বলে বাড়ি পালিয়ে বাঁচল।
মনে মনে বললে, “বাবাঃ, বদমেজাজের চোটে সব আলুনি হয়ে গেল। তেল আক্রার এই বাজারে আলুভাজা বা আলুভাতের বদলে মুফতে আলো পোড়া খাওয়ার যে মজা সে কথা আর কোনদিন বলব না কোন বে-আক্কেল ভদ্রলোককে।”
