আম বাগানের মেয়ে

বহুদিন আগের কথা। কাঞ্চননগর রাজ্যের রাজা এক আম চাষি কাছে কয়েকশ কেজি আম অর্ডার করলেন।

কয়েকশ কেজি আম পাঠানো সময় আম চাষি একটি আমের ঝুড়িতে তার ছোট্ট মেয়ে, লিনাকে রাজপ্রাসাদে পাঠিয়ে দিলো।

যেহেতু লিনা আম বাক্স থেকে বের হয়েছিলো তাই রাজপ্রাসাদের সবাই আদর করে তাকে ‘আম বাগানের মেয়ে’ বলে ডাকতো।

সমবয়সী বন্ধু পেয়ে রাজকুমার খুব খুশি হয়েছিলো। লিনাও রাজকুমারের সাথে খেলাধুলা করে আনন্দ পেতো।

ধীরে ধীরে তারা অনেক ভালো বন্ধু হয়ে উঠলো। রাজকুমার ও লিনার বন্ধুত্ব দেখে রাজপ্রাসাদের অন্যরা হিংসা করতে লাগলো।

লিনার প্রতি হিংসা থেকে সকলে রাজাকে বলতে লাগলো, “মহারাজ, আপনি যে গুপ্তধনের জন্য এতদিন অপেক্ষা করছেন, এই মেয়ে জানে সেই গুপ্তধন কোথায় আছে।”

রাজপ্রাসাদের লোকেরা জানতো, গুপ্তধনটি এক ডাইনি লুকিয়ে রেখেছে। যে সেই গুপ্তধন আনতে যাবে, ডাইনি তাকে শেষ করে ফেলবে।

তাই রাজপ্রাসাদের লোকরা এমন মিথ্যা রটনা করলো। তারা চাইতো, লিনা যেনো গুপ্তধন আনতে গিয়ে আর ফিরে না আসে।

রাজপ্রাসাদের লোকদের অপবাদ শুনে লিনা কাঁদতে কাঁদতে বললো, “বিশ্বাস করুন মহারাজ, আমি কোনো গুপ্তধনের ব্যাপারে কিছুই জানিনা।”

রাজা লিনার কথা বিশ্বাস করলেন না। রাজা লিনাকে বললেন, “তুমি যদি গুপ্তধনটি আমাকে উদ্ধার করে এনে দাও তাহলে আমি তোমার কথা বিশ্বাস করবো।”

চিন্তিত লিনা গুপ্তধনের সন্ধানে বের হলো। পথে একটি ভালো পরীর সাথে তার সাক্ষাৎ হলো। ভালো পরী লিনাকে গুপ্তধন উদ্ধার করতে সাহায্য করলো।

গুপ্তধন নিয়ে লিনা রাজপ্রাসাদে ফিরে আসলো। রাজা অনেক খুশি হলেন এবং লিনাকে বললেন, “লিনা, তুমি কী চাও বলো? তুমি যা চাইবে আমি তোমাকে তা-ই দিবো।”

লিনা বললো, “আমি রাজকুমারকে বিয়ে করতে চাই, মহারাজ।” মহারাজ রাজী হলেন এবং ধুমধাম করে রাজকুমারের সাথে লিনার বিয়ে দিলেন।

রাজকুমারের সাথে লিনা সুখেশান্তিতে বসবাস করতে লাগলো।

শিক্ষা: কারো প্রতি হিংসা করতে নেই