হযরত আদম (আলাইহিস সালাম)-এর বড় ছেলে ক্বাবীল ও ছোট ছেলে হাবীল। এক সময় তারা দুইজনেই আল্লাহর জন্য কুরবানি পেশ করলো।
হাবীলের কুরবানি কবুল হলো এবং অপরজনেরটা হলো না। তখন ক্বাবীল রাগে-ক্ষোভে তার ভাইকে বললো, “আমি তোকে মেরেই ফেলব।”
তার ভাই তাকে বুঝিয়ে বললো, “দেখো ভাই! আল্লাহ কেবল তাঁর মুত্তাকী (ইসলাম ধর্ম অনুসারে ধার্মিক) বান্দার কুরবানিই কবুল করেন।”
সে আরো বললো, “শোনো! তুমি আমায় হত্যা করার জন্য হাত বাড়ালেও, আমি তোমায় হত্যার জন্য হাত উঠাবো না। কেননা এ ব্যাপারে আমি বিশ্বজাহানের রব মহান আল্লাহকে ভয় করি।
আর আমি এমনটাই প্রত্যাশা করি যে, তুমি আমার ও তোমার পাপের বোঝা একাই বহন করো। ফলে এভাবেই তুমি জাহান্নামে চলে যাবে। আর সেটাই কিন্তু জালেমের পুরস্কার।”
এতসব কিছু শোনার পরেও ক্বাবীলের প্রবৃত্তি (বা নফস) নিজের ভাইকে হত্যা করতে তাকে প্ররোচিত করলো। সে সত্যি সত্যি তাকে হত্যা করে বসলো।
এরপর আল্লাহ সেখানে একটি কাক পাঠালেন। সেটি মাটি খুঁড়তে লাগলো, যাতে ক্বাবীলকে দেখাতে পারে যে, কীভাবে তার ভাইয়ের লাশ লুকাতে হবে।
তথ্য:
১। ‘জাইয়িদ’ (উত্তম) সনদ সহ আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ও আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে ‘মওকূফ’ সূত্রে যা যা বর্ণিত হয়েছে এবং হাফেয ইবনু কাছীর যাকে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী একাধিক বিদ্বানগণের ‘মশহূর’ বক্তব্য বলে স্বীয় তাফসীরে ও তারীখে উল্লেখ করেছেন।
২। সূরা আল মায়েদা, আয়াত (২৭-৩১) – আল কুরআন সহজ ভাবানুবাদ, শাঈখ হাসান মাহফুজ (অনুবাদক)
৩। তাফসীরে আহসানুল বায়ান