একচক্ষু হরিণ

একদা এক বনে এক হরিণ ছিল। কোনো এক দুর্ঘটনায় তার একটি চোখ অন্ধ হয়ে গেছিল। সেইজন্যে তার মনে খুব দুঃখ ছিল। তার কোনো বন্ধু-বান্ধবও ছিল না। সে একা একা থাকতেই ভালবাসতো।

একদিন সে বনের এক নদীর তীরে ঘাস খেতে এসেছিল। বিপদ যদি আসে তবে তা ডাঙ্গার দিক থেকেই আসবে মনে করে তার ভাল চোখটা নিয়ে ডাঙ্গার দিকে লক্ষ্য রেখে ঘাস খাচ্ছিল।

কিন্তু হরিণটি ভাবল এক আর হল আর এক। ভাগ্যের এমনি পরিহাস যে, সেই সময় নদীর ওপর নৌকা করে একদল শিকারী যেতে যেতে হরিণটাকে দেখতে পেয়ে তাকে তীর মারল।

অতএব হরিণটি শিকারীদের হাতে মারা পড়ল। মরবার সময় হরিণটি আফসোস করে বলতে লাগল—

হায়! বিপদ তো আমি ডাঙার দিক থেকেই আসবে বলে মনে করেছিলাম। তাই ডাঙার দিকেই আমি তাকিয়েছিলাম।

সেই দিকে, অর্থাৎ নদীর দিক থেকে যে বিপদ আসতে পারে তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। অথচ মারা পড়লাম আমি সেই দিক থেকে ছোঁড়া তীর থেকে।

উপদেশ: বিপদ দিক ঠিক করে আসে না!