এক কুমিরের ছিলো এক বানর বন্ধু। একদিন বানর বন্ধু কুমিরকে কিছু জাম দিলো কুমিরের স্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য।
কুমির তার স্ত্রীর জন্য জাম নিয়ে বাসায় গেলো। কিন্তু জামগুলি পেয়ে তার স্ত্রী খুশি হলো না।
কুমিরের স্ত্রী বললো, “আমি বানরের কলিজা খেতে চাই!” জাম দিয়ে স্ত্রীকে খুশি করতে না পেরে বেশ হতাশ হলো কুমির।
কুমির সিদ্ধান্ত নিলো, স্ত্রীকে খুশি করার জন্য সে বানরের কলিজা নিয়ে আসবে। পরদিন কুমিরটি আবার বানরের সাথে দেখা করতে গেলো।
বানরকে বললো, “আমার স্ত্রী তোমাকে রাতে খাবারের দাওয়াত দিয়েছে।” দাওয়াত পেয়ে বানর বেশ খুশি হলো।
দাওয়াত খেতে যাওয়ার জন্য সে লাফ দিয়ে কুমিরের পিঠে চড়ে বসলো। পিঠে বসা মাত্রই কুমির তার বানর বন্ধুকে জানালো যে, তার স্ত্রী বানরের কলিজা খেতে চায়।
অসহায় কণ্ঠে বানর বললো, “ওহ! বন্ধু, তুমি আগে একথা বলোনি কেনো আমাকে? আমি তো গাছে আমার কলিজা রেখে এসেছি। দ্রুত ফিরে চলো, কলিজাটি নিয়ে আসি।”
কুমির বানরকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলো গাছের কাছে। যেই না তারা গাছের কাছে পৌছালো, বানর লাফ দিয়ে গাছের সবচেয়ে উঁচু ডালে গিয়ে বসলো।
বসে বসে কুমিরের দিকে ফল ছুঁড়ে মারতে মারতে বললো, “আরে বোকা, কলিজা ছাড়া কি কেউ বাঁচতে পারে?”
শিক্ষা: বোকামী ভুল সিদ্ধান্তের কারণ হতে পারে