এক শিকারি ও এক হরিণের গল্প

একদিন এক হরিণ বনের ধারের এক পুকুরে পানি খাচ্ছিলো। পানি খেতে খেতে সে পুকুরে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলো। প্রতিচ্ছবি দেখে নিজের বেশ প্রশংসা করলো সে।

বললো, “বাহ,  আমি দেখতে কত্ত সুন্দর! আমার শিংগুলোও অনেক সুন্দর। ইশ, আমার পাগুলো যদি আমার চেহারার মতো সুন্দর হতো তাহলে কত ভালো হতো!”

এমন সময় এক শিকারি তাকে লক্ষ্য করে তির ছুঁড়ে মারলো। শিকারির কবল থেকে বাঁচার জন্য হরিণটি এক লাফে চার হাত দূরে পালিয়ে গেলো।

অনেকগুলো গাছের ফাঁক দিয়ে দৌড়াতে লাগলো সে। শিকারিও তাকে উদ্দেশ্য করে তির ছুঁড়তে থাকলো কিন্তু তিরগুলো বারবার গাছে আটকে যাচ্ছিলো।

নাছোড়বান্দা শিকারি হরিণটিকে ধাওয়া করতেই থাকলো। হরিণটিও প্রাণপণে দৌড়াতে থাকলো। অবশেষে সে একটি নিরাপদ আশ্রয়ে পৌছালো।

অনেকক্ষণ দৌড়ানোর ফলে হাঁপিয়ে উঠেছিলো হরিণটি। দম নিতে নিতে সে বললো, “কী বোকার মতো এতক্ষণ আমি আমার পা নিয়ে অভিযোগ করছিলাম। পা-ই তো আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।”

শিক্ষা: বেশিরভাগ সময়ই আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের মূল্য বুঝিনা