এক সৎ কাঠুরের গল্প

একদিন এক কাঠুরে বনে কাঠ কাটতে গেলো। কাঠ কেটে বাসায় ফেরার পথে তার লোহার কুড়াল নদীতে পড়ে গেলো।

কুড়াল হারিয়ে নদীর ধারে বসে কাঁদতে শুরু করলো কাঠুরে। হঠাৎ নদী থেকে এক জলপরী উঠে আসলো। জলপরী কাঠুরেকে তার কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলো।

কাঠুরে জলপরীকে তার কুড়ালের কথা জানালো। জলপরী নদী থেকে একটি সোনার কুড়াল তুলে তাকে জিজ্ঞেস করলো, “এইটা কি তোমার কুড়াল?”

কাঠুরে বললো, “না।” এবার একটি রূপার কুড়াল তুলে জলপরী জানতে চাইলো, এটি কাঠুরের হারিয়ে যাওয়া কুড়াল কিনা।

আবারো না সূচক উত্তর দিলো কাঠুরে। অবশেষে জলপরী কাঠুরের লোহার কুড়ালটি তুলে জিজ্ঞেস করলো, “এইটা কি তোমার?”

কাঠুরে জলপরীকে জানালো, এইটিই তার হারিয়ে যাওয়া কুড়াল। কাঠুরের সততায় জলপরী বেশ খুশি হলো।

কাঠুরেকে তার লোহার কুড়াল ফিরিয়ে দিলো। সেইসাথে সততার উপহার হিসেবে তাকে দিলো সোনা ও রূপার কুড়াল।

তিনটি কুড়াল নিয়ে কাঠুরে খুশি মনে বাসায় ফিরে যেতে লাগলো। পথে দেখা হলো বন্ধুর সাথে। কাঠুরের কাছে সোনা ও রূপার কুড়াল দেখে তার বন্ধু বেশ অবাক হলো।

জানতে চাইলো, কাঠুরে কীভাবে সোনা ও রূপার কুড়াল পেলো। কাঠুরে তাকে সব খুলে বললো।

কাঠুরের বন্ধু সেই নদীর ধারে গেলো এবং তার লোহার কুড়ালটি নদীতে ছুড়ে ফেললো। আবারো সেই জলপরী উঠে আসলো। এবং আগেরবারের মতো একটি সোনার কুড়াল কাঠুরের বন্ধুকে দেখালো।

জলপরী জিজ্ঞেস করলো, “এইটা কি তোমার কুড়াল?”

কাঠুরের লোভী বন্ধু বললো, “হ্যাঁ, এইটাই আমার হারিয়ে যাওয়া কুড়াল।”

কাঠুরের বন্ধুর মিথ্যা কথায় বিরক্ত হলো জলপরী। সোনার কুড়ালটি নিয়ে জলপরী আবার নদীর ভেতরে চলে গেলো।

কাঠুরের বন্ধু সোনা ও রূপার কুড়াল তো পেলোই না, বরং মিথ্যা কথা বলার কারণে তার লোহার কুড়ালটিও হারলো।

শিক্ষা: সততায় সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা