কৃষকের স্ত্রী ও এক বেজির গল্প

একদা এক গ্রামে এক কৃষক তার স্ত্রী ও ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতো। তাদের একটি পোষা বেজিও ছিলো।

একদিন কৃষকের স্ত্রী কিছু কাজে বাজারে যাচ্ছিলো। যাওয়ার সময় সে বেজিকে ছোট্ট ছেলেটির খেয়াল রাখার দায়িত্ব দিলো।

কৃষকের স্ত্রী বাজারে উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর বাসায় একটি সাপ আসলো। সাপটি কৃষকের ছোট্ট ছেলেটিকে কামড় দিতে যাচ্ছিলো।

কৃষকের ছেলেকে সাপের ছোবল থেকে বাঁচানোর জন্য সাপটিকে মেরে ফেললো বেজি। সাপের সাথে মারামারি করার ফলে বেজির মুখের সাপের রক্ত লেগে গেছিলো।

কৃষকের স্ত্রী বাসায় এসে বেজির মুখে রক্ত দেখে ভাবলো, বেজি তার ছোট্ট সোনামুনিকে কামড় দিয়েছে। রাগে ক্ষোভে কৃষকের স্ত্রী তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলো।

দ্রুত ঘরের ভেতরে গিয়ে সে দেখলো, তাদের ছোট্ট ছেলে একইভাবে দোলনায় শুয়ে শুয়ে খেলা করছে এবং পাশে একটি মৃত সাপ পড়ে আছে। ভীষণ কষ্ট পেলো কৃষকের স্ত্রী।

নিজে নিজেই বললো, “আমি কত্ত বোকা!! আমাদের পোষা বেজিকে আমি এত দ্রুত বিচার করে ফেললাম!!”

হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে সে আবার বললো, “এখন ভুল বুঝতে পেরে কী লাভ!! আমি তো আর বেজিকে ফিরে পাবো না।”

শিক্ষা: হুটহাট কাউকে বিচার করতে নেয়