গলায় বেড়ি

এক ছিল কুকুর। লোক দেখলেই সে তেড়ে এসে কামড়ে দিত। লোকে তাকে রাগ করে দুষ্টু কুকুর বলত। এই কুকুরটাকে নিয়ে তার মনিব হিমশিম খেত।

পাড়া প্রতিবেশী কমবেশি সকলেই এই ক্ষ্যাপা কুকুরটির সম্বন্ধে অভিযোগ করতো; আজ একে কামড়াচ্ছে, কাল ওকে দৌড় করিয়ে ডোবায় ফেলছে।

কখন, কোথায় কাকে এই ক্ষ্যাপা আর বদরাগী কুকুরটা কামড়াবে সেই ভয়েই সবাই তটস্থ হয়ে থাকতো।

এই সব দেখে মনিবটি তার কুকুরটার গলায় একটা ঘণ্টা বেঁধে দিলেন। যাতে সে কাছাকাছি আসছে জেনে লোকে সাবধান হতে পারে।

এদিকে এই ঘণ্টা গলায় পেয়ে কুকুরটার খুব গুমোর হল। সে অনেক লোককে এটা দেখাবে, এর বাজনা শোনাবে বলে একদিন ওখানকার বাজারের মধ্যে গিয়ে হাজির হল। খুব অহঙ্কার হয়েছিল তার।

বাজারে একটা বুড়ি কুকুরী থাকতো। সে এই কুকুরটাকে দেখেই বলে উঠল, “কি গো, গলার ঘণ্টা দেখাতে বেরিয়েছ আর বাজনা শোনাতে এসেছ? তা ওটা তোমার সৎ স্বভাবের পুরস্কার নয়।

তোমার যে বদ স্বভাব তা বেশ বোঝা যাচ্ছে, মানে তোমার মনিব তোমার গলায় ঘণ্টা বেঁধে বেশ বুঝিয়ে দিয়েছে। আর তোমার স্বভাবে ঐ ঘণ্টার বাজনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।

তোমার ওটাকে নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই বুঝলে তো? মাথায় তো গোবর পোরা, তাই এই সব বুঝবে কী করে?”

উপদেশ: খারাপ লোকের হামবড়াই ভাবেই তাদের মন্দ-স্বভাব প্রকাশ পায়।