জ্ঞানের হাঁড়ি

একদিন মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জা একটি ফাঁকা বড় হাঁড়ি নিয়ে গ্রামে ঢুকলেন। কৌতূহলী গ্রামবাসী তার চারপাশে জড়ো হয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগল, “মোল্লা, এই হাঁড়িতে কী আছে?”

একটি বুদ্ধিদীপ্ত হাসি দিয়ে হোজ্জা ঘোষণা করলেন, “এই হাঁড়িতে জ্ঞান আছে। পৃথিবীর সব জ্ঞান সংগ্রহ করে আমি এই হাঁড়িতে রেখেছি।”

এমন অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হতে গ্রামবাসী হাঁড়িটির মধ্যে দেখতে লাগল। হাঁড়িটি সম্পূর্ণ ফাঁকা দেখে তারা বেশ অবাক হলো।

“মোল্লা, এই হাঁড়িতে তো কিছুই নেই!” বিস্মিত কণ্ঠে বলে উঠল তারা।

হোজ্জা হেসে উত্তর দিলেন, “ঠিক বলেছ। আমরা খুবই স্বল্প জানি এইটা বুঝতে পারাই হচ্ছে প্রকৃত জ্ঞান। যখন তুমি বুঝতে পারবে হাঁড়িটি খালি, তখনই তুমি প্রকৃত জ্ঞানের অর্জনের পথে এগিয়ে যাবে। বিনয়ী জ্ঞান অর্জনের প্রথম ধাপ।”

গ্রামবাসীরা প্রথমে কিছুটা বিভ্রান্ত হলেও পরবর্তীতে হোজ্জার কথার গভীরতা উপলব্ধি করতে পারল। তারা বুঝতে পারল, সকলেরই নিজের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে নতুন কিছু জানার প্রতি উন্মুক্ত মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত।

সেই দিন থেকে তারা নতুন কোনো শিক্ষাকে বিনয়ী ও সম্মানের সাথে গ্রহণ করতে লাগল।