একদা এক গ্রামে একটি বিড়াল বাস করত। তার প্রতিবেশী ছিল মোরগ, মুরগী, হাঁস ইঁদুর, বেজি ইত্যাদি।
বিড়ালটি প্রতিদিন তার প্রতিবেশীদের বাসায় হানা দিয়ে তাদের উত্যক্ত করত, তাদের ডিম খেয়ে নিত।
একদিন মোরগ, মুরগী, হাঁস, ইঁদুর ও বেজি সকলে মিলে বিড়ালকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য একটি বুদ্ধি আটলো।
অন্য প্রতিবেশীদের বাসায় বিড়ালের হানা দেওয়া শেষ। এইবার তার মুরগীর বাসায় হানা দেওয়ার পালা।
তাই মোরগ, মুরগী, হাঁস, ইঁদুর ও বেজি মুরগীর বাসায় একটি ডিম, একটি ফুলদানি এবং কয়েকটি আলপিন এনে রাখল।
বিড়াল মুরগীর বাসায় আসার আগে ডানায় ছাই লাগিয়ে দরজার পাশে বসে থাকল হাঁস। বেসিনের টাওয়ালে ডিমের কুসুম লাগাল মুরগী।
চেয়ারগুলোতে আলপিন ছিটিয়ে দিলো বেজি। চেয়ারের মাথার উপরে সুতা দিয়ে ফুলদানিটা ঝুলিয়ে রাখল মোরগ। সেই সুতাটি দাঁত দিয়ে ধরে রাখল ইঁদুর।
বিড়াল মুরগীর বাসায় ঢুকা মাত্রই হাঁস তার সামনে দিয়ে উড়ে গেল। ভ্যাবাচেকা খেলো বিড়াল। ভাবলো, ভুল করে হাঁসের বাসায় চলে এলাম না তো!
হাঁসের ডানায় লাগানো ছাইগুলো সব বিড়ালের চোখে পড়ল। বিড়াল দ্রুত বেসিনে গেলো মুখ ধুতে। মুখ ধুয়ে টাওয়াল দিয়ে মুখ মোছার সময় তার মুখের ডিম লেগে গেল।
বিরক্ত হয়ে চেয়ারে বসলো বিড়াল। সাথে সাথে আলপিনগুলো ফুটলো তার গায়ে। ব্যথায় চিৎকার করে উঠলো সে।
এমন সময় ফুলদানির সুতা ছেড়ে দিলো ইঁদুর। ফুলদানিটা এসে বিড়ালের মাথায় পড়লো এবং মাথা ফেটে গেলো। দ্রুত মুরগীর বাসা থেকে পালিয়ে গেলো বিড়াল।
এরপর সে কখনো কাউকে বিরক্ত করেনি।
শিক্ষা: অন্যকে বিপদে ফেললে নিজেকে বিপদে পড়তে হয়