একদিন মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জা তার প্রতিবেশীর কাছ থেকে একটি বড় হাঁড়ি ধার নিলেন। কিছুদিন পরে হোজ্জা সেই হাঁড়ি ফেরত দিলেন, তবে তার সঙ্গে একটি ছোট হাঁড়িও দিলেন।
প্রতিবেশী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “হোজ্জা, এই ছোট হাঁড়ি কোথা থেকে এলো?”
হোজ্জা হেসে বললেন, “অভিনন্দন! তোমার হাঁড়ি যখন আমার বাড়িতে ছিল, তখন সে একটি বাচ্চা প্রসব করেছে, আর এই ছোট হাঁড়িটা সেই বাচ্চা।”
প্রতিবেশী খুশি হয়ে ছোট হাঁড়িটি গ্রহণ করলেন এবং হোজ্জার বুদ্ধিতে মুগ্ধ হলেন। কিছুদিন পরে হোজ্জা আবার সেই বড় হাঁড়ি ধার নিলেন।
কিন্তু এবার অনেক দিন কেটে গেল, হোজ্জা হাঁড়ি আর ফেরত দিচ্ছিলেন না। অবশেষে, প্রতিবেশী হোজ্জার বাড়িতে গিয়ে হাঁড়ি ফেরত চাইলে হোজ্জা গভীর দুঃখের সাথে বললেন, “দুঃখিত, তোমার হাঁড়ি মারা গেছে।”
প্রতিবেশী বিস্মিত হয়ে বললেন, “হাঁড়ি কি কখনো মারা যায়?”
হোজ্জা গম্ভীরভাবে উত্তর দিলেন, “যখন হাঁড়ি বাচ্চা প্রসব করতে পারে, তখন সেটি মারাও যেতে পারে।”
প্রতিবেশী বুঝতে পারলেন হোজ্জা তার লোভের জন্য তাকে এই শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি হেসে চলে গেলেন এবং উপলব্ধি করলেন যে, অতিরিক্ত আশা সব সময় মঙ্গল বয়ে আনে না।