ধৈর্যের ফল

একদা এক গ্রামে এক পাতিশিয়াল বাস করতো। কিছুদিন খাবার না পেয়ে পেয়ে শেয়ালের পেটটা এক্কেবারে চুপসে গেল। একদিন সে বাধ্য হয়ে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ল।

পথে যেতে যেতে হঠাৎ তার চোখে পড়ল, একটা ওক গাছের খোড়লে বেশ কিছু রুটি আর মাংস রাখা আছে। রাখাল বালকদের কেউ হয়ত পরে খাবে বলে রেখে দিয়েছে।

পাতিশেয়ালটা ঐ খাবার দেখেই খোড়লের ভেতর ঢুকে পড়ল। আর গপ গপ করে খাবারগুলো সব চেটেপুটে খেয়ে নিল।

ফলে তার চোসানো পেটটা হয়ে উঠল দারুণ মোটা। এবার সে আর খোড়ল থেকে বেরোতে পারল না। অনেক চেষ্টা করেও বেরোতে না পেরে সে কেঁউ কেঁউ করে কাঁদতে লাগল।

পথ দিয়ে তখন আর একটা শেয়াল যাচ্ছিল। যেতে যেতে খোড়লে পড়া শেয়ালকে কেঁউ কেঁউ করে কাঁদতে দেখে বলল, “কি হল ভাই, তোমার? তুমি কেঁউ কেঁউ করছ কেন?”

খোড়লে আটকে পড়া পাতিশেয়ালটা তখন তার মুশকিলের কথা তাকে খুলে বলল। তখন পথচারী শেয়ালটা বলল-

“ওঃ তাই বুঝি! তা একটু সবুর কর, পেট তোমার আবার আগেকার মত শুকনো হয়ে যাবে। তখন অনায়াসে তুমি ঐ খোড়ল থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।”

উপদেশ: ধৈর্য ধরে থেকে সমস্যার সমাধান করতে হয়।