নেকড়ে বাঘ ও ভেড়ার বাচ্চা

একদা এক ভেড়ার বাচ্চা ছিল। সে একদিন এক পাহাড়ী নদীতে জল খাচ্ছিলো। দূর থেকে তাকে এক নেকড়ে বাঘ দেখতে পেল।

নাদুস-নুদুস্ ভেড়ার বাচ্চাটিকে দেখে নেকড়ের জিভ দিয়ে জল পড়তে লাগলো। কিন্তু লোভ হলে কি হবে, ভেড়ার বাচ্চাটাকে ধরতে হলে একটা অজুহাত তো থাকা চাই!

মনে মনে এক ফন্দি আঁটলো নেকড়ে! হ্যাঁ, একটা অজুহাত তার মাথায় চট্ করে এসে গেল। নেকড়ে তখন ভেড়ার বাচ্চাটাকে ডেকে বললো, “এই, তুই আমার জল ঘোলা করছিস্ কেন?”

ভেড়ার বাচ্চাটি বললো, “বারে! আমি তো শুধু নদীতে মুখ লাগিয়ে জল খাচ্ছি, তাছাড়া আপনি রয়েছেন নদীর উপরে আর আমি রয়েছি ভাটিতে, এতে আপনার খাবার জল ঘোলা হবে কি করে?”

নেকড়ে বললো, “ওঃ তাই বুঝি! তা তুই গত বছর আমার বাবাকে গালাগালি করেছিলি কেন? তাই বল?”

ভেড়ার বাচ্চাটা উত্তর দিল, “একি বলছেন আপনি! আমার বয়স তো মাত্র ছয় মাস। গেল বছর তো আমি জন্মাই-ই নি!”

নেকড়ে তখন মুখ খিঁচিয়ে বললো, “জন্মই হয়নি! আবার বড়দের মুখে মুখে তক্ক করা! খুব ভেঁপো হয়ে গেছিস্ তাই না! তা ও সব কথাতে ভুলছি না আমি, তোকে আমি খাবোই।”

এই বলে নেকড়ে ভেড়ার বাচ্চার ওপর লাফিয়ে পড়ে কচ্‌মচ্ করে কচি মাংস চিবিয়ে খেতে লাগলো।

উপদেশ: দুর্জন ব্যক্তি মাত্রেই নানা ছল করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করে থাকে।