বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার শাসনামলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার চেষ্টা করে।
সিরাজউদ্দৌলা তাদের এই চেষ্টায় বাধা দেন এবং রাজস্ব আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্যবসায়িক স্বার্থে বড় ধরনের আঘাত হানে।
ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তা রবার্ট ক্লাইভ নবাবের সেনাপতি, মীর জাফরকে ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।
সেই ষড়যন্ত্রে সিরাজের অধীনস্থ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সহ জগত শেঠ, উমিচাঁদ এবং রায় দুর্লভর মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শামিল হন।
ক্লাইভের ব্রিটিশ কূটনীতি জের ধরে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে পলাশীর যুদ্ধ শুরু হয়।
যদিও পলাশীর যুদ্ধে নবাবের বাহিনী তুলনামূলক বড় ছিল তবুও তিনি যুদ্ধে জয় লাভ করতে পারেননি।
কেননা তাঁর বিশ্বাসঘাতক সৈন্যবাহিনী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই না করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে ফলে নবাব সিরাজের পুরো বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ে।
এভাবে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন এবং পরবর্তীতে মীর জাফরের পুত্র মীরনের নির্দেশে তিনি নিহত হন।