পিনোকিও

একদিন জেপেতো নামের এক কাঠমিস্ত্রি কাঠ খোদাই করে একটি পুতুল বানালো। পুতুলটির নাম দিলো পিনোকিও।

রাতে ঘুমানোর সময় জেপেতো ভাবলো, পিনোকিও যদি সত্যিকারের মানুষ হতো তাহলে খুব ভালো হতো। নীল পরী জেপেতোর মনের ইচ্ছাপূরণ করলো।

ছেলে পিনোকিও-কে নিয়ে ভালোই দিন কাটছিলো জেপেতোর। সার্কাসে নাচ করে পিনোকিও  বাবার পাশাপাশি দর্শকদেরও ভালোবাসা পাচ্ছিলো।

একদিন সার্কাসের মালিক খুশি হয়ে পিনোকিও-কে কয়েকটি সোনার কয়েন দিলো। বাসায় ফেরার পথে বিড়াল ও শিয়াল সেগুলো ছিনিয়ে নিলো।

আবার নীল পরী পিনোকিও-এর কাছে আসলো। সোনার কয়েনগুলোর ব্যাপারে জানতে চাইলো।

পিনোকিও বললো, “আমি কয়েনগুলো হারিয়ে ফেলেছি, নীল পরী।” তৎক্ষণাৎ পিনোকিও-এর নাক লম্বা হয়ে গেলো।

নীল পরী রাগ করলো। বললো, “পিনোকিও, তুমি মিথ্যা বলছো।” পিনোকিও লজ্জা পেলো।

নীল পরী আবার বললো, “পিনোকিও, তোমার বাবা বিপদে আছে। জেপেতোকে একটি তিমি মাছ খেয়ে ফেলেছে।” একথা শুনে পিনোকিও দ্রুত সমুদ্রে গেলো।

সমুদ্রে একটি তিমি ঘুমাচ্ছিলো। নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় তার মুখ থেকে অনেকগুলো মাছ বেরিয়ে আসছিলো।

পিনোকিও দেখলো, তার বাবার সেই তিমির পেটের মধ্যে বসে মাছ ধরছে। সেও তিমির পেটের ভেতরে গেলো এবং বৈঠা দিয়ে তিমির গলায় খোঁচা দিলো।

বমি করলো তিমি। পিনোকিও ও জেপেতো তিমির পেট থেকে বেরিয়ে আসলো।

নীল পরী খুশি হয়ে পিনোকিও-এর নাক ঠিক করে দিলো এবং বললো, “পিনোকিও, আর কখনো মিথ্যা বলবে না।”

পিনোকিও উত্তর দিলো, “আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি, নীল পরী। আর কখনো মিথ্যা বলবো না।”

শিক্ষা: কখনো মিথ্যা বলবে না