প্রকৃত ভালোবাসা

বহুবছর আগের কথা। সুখনগর নামের এক রাজ্য ছিলো। কিন্তু সুখনগরের রাজা-রাণীর মনে কোনো সুখ ছিলো না।

রাণী এক পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন যার মাথাটা গাধার মতো। নিজেকে আয়না দেখলে রাজপুত্র কষ্ট পাবে বলে রাজপ্রাসাদ থেকে সকল আয়না সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।

প্রাসাদের ছোট বাচ্চারা রাজপুত্রকে দেখে হাসাহাসি করতো। রাজপুত্র বুঝতে পারত না কেনো বাচ্চারা তাকে দেখে হাসছে। কাউকে জিজ্ঞেস করেও কোনো উত্তর পেতো না।

রাগ করে রাজপুত্র একদিন রাজপ্রাসাদ ছেড়ে চলে গেলো। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত রাজপুত্র একটি পুকুরে মুখ ধুতে গিয়ে পুকুরের পানিতে নিজেকে দেখলো।

অবাক হলো রাজপুত্র। মনের দুঃখে সে পুকুর পাড়ে বসে থাকলো। এমন সময় এক রাজকুমারী ঘোড়া ছুটিয়ে সেই পুকুর পাড়ে আসলো।

হঠাৎ ঘোড়াটা পাগলামি করতে শুরু করলো। ভয় পেলো রাজকুমারী। রাজপুত্র রাজকুমারীকে অভয় দিয়ে ঘোড়াটিকে শান্ত করলো।

রাজপুত্র ও রাজকুমারী অনেক গল্প করলো। রাজপুত্রের আচার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে রাজকুমারী তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলো।

মেয়ের মন রক্ষার্থে রাজা সেই রাজপুত্রের সাথে রাজকন্যার বিয়ের দিলো। বিয়ের পর রাজকন্যা রাজপুত্রের সাথে তার প্রাসাদে যেতে চাইলো।

রাজপুত্র যেতে সংকোচবোধ করলো। সংকোচের কারণ জানতে চাইলে রাজপুত্র রাজকন্যাকে সব খুলে বললো।

রাজকন্যার মায়া হলো। সে রাজপুত্রের কপালে একটি চুমু দিলো। মুহূর্তেই রাজপুত্রের গাধার মতো মাথা একটি সুদর্শন পুরুষের মাথায় পরিণত হলো।

রাজপুত্র ও রাজকন্যা উভয়েই অনেক খুশি হলো। তারা সুখনগরে ফিরে গেলো এবং সুখনগরে আবার সুখশান্তি ফিরে আসলো।

শিক্ষা: কারো দুর্বলতা নিয়ে মজা করতে নেয়