এক যে ছিল কুকুর। আর ছিল এক মোরগ। দুইজনের গলায় গলায় বন্ধুত্ব ছিল। দুই বন্ধু একসঙ্গে দেশ ভ্রমণে বেরিয়েছিল। পথে যেতে যেতে রাত্রি হয়ে গেল।
আর রাত হতেই তখন মোরগটা এক গাছের ওপরে একটা ভাল ডাল বেছে নিয়ে ঘুমোতে গেল। আর কুকুরটা? কুকুরটা রইল ঐ গাছেরই গোড়ায় এক বড়সড় গর্তে। দু’জনেই ঘুমিয়ে পড়ল।
এদিকে ভোর হয়ে আসছে। মোরগ তার অভ্যাস মত কোঁকর কোঁক করে ডেকে উঠল। সেই ডাক শুনে এক খেঁকশিয়ালীর বড় লোভ হল।
একটু দূরেই খেঁকশিয়ালীটি তার ছানাপোনা নিয়ে বাস করতো। মোরগের ডাক শুনে সে এগিয়ে এল সেই গাছের তলায়।
তারপর খেঁকশিয়ালী গাছের ডালের দিকে চেয়ে মোরগকে মিষ্টি করে বলল, “সত্যিই কি সুন্দর গলা তোমার, শুনে বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে, নেমে এসো, আমি তোমায় আলিঙ্গন করি।”
এই কথা শুনে মোরগটিও মিষ্টি করে বলল, “এই গাছের নিচে আমার দারোয়ান ঘুমোচ্ছে, তাকে আগে জাগাও, সে উঠে দরজা খুলে দিক, তখন আমি নিচে নামতে পারব।”
খেঁকশিয়ালী তখন কেবলই খুঁজছিল, কোথায় সেই দারোয়ান, কাকে দরোজা খোলার কথা বলতে হবে, অমনি কুকুর উঠে এক লাফে খেঁকশিয়ালীর ঘাড় চেপে ধরল।
তারপর তাকে কামড়ে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলল।
উপদেশ: দুর্বলেরা সবলের সাহায্য নিয়ে অতি সহজেই শত্রু দমন করতে পারে।