একদা এক সতী সাধ্বী স্ত্রীলোক ছিল। আর তার স্বামীটি ছিল পাঁড় মাতাল। কিছুতেই তার স্ত্রী স্বামীকে মদ খাওয়া ছাড়াতে পারছিল না।
একদিন স্ত্রীটি তার স্বামীর এই বদ অভ্যাসটি ছাড়াতে এক ফন্দি আঁটল। স্বামী পাঁড় মাতাল হবার পর যখন তার জ্ঞানগম্যি বলে আর কিছুই রইল না তখন সে তাকে কাঁদে করে বয়ে নিয়ে এক কবরখানায় রেখে এলো।
এরপর যখন তার মনে হল—ঘুমোনোর পর স্বামীর হয়ত এতক্ষণে মদের নেশা কেটে গেছে, তখন সে কবরখানার দরোজায় গিয়ে ধাক্কা দিতে লাগল৷
স্বামীর তখন ঘুম ভেঙেছে। সে হুঙ্কার দিয়ে বলল, “কে? কে ডাকে আমায়?”
স্ত্রীটি শান্ত স্বরে উত্তর দিল, “আমি গো, আমি৷ মড়ার পিণ্ডি এনেছি আমি, ওঠো, উঠে খাও।”
“ধুত্তোরি তোমার খাবার, কোনো খাবারের দরকার নেই আমার, কিছু মদ আনতে পার তো আনো, এছাড়া অন্য কিছুই আমি চাই না।”
স্বামীটির এই কথা শুনে স্ত্রীলোকটি বুক চাপড়ে কাঁদতে লাগল, “আরে আমার পোড়া কপাল, তোমায় শোধরাবার জন্যে আমি এত ফন্দি আঁটলাম, সেসবই আমার ব্যর্থ হয়ে গেল! তুমি আরও নিচে নেমে গেলে?”
এই বলে স্ত্রীটি হা-হুতাশ করে শুধুই কাঁদতে লাগল।
উপদেশ: অল্প সময়ের মধ্যে বদ অভ্যাস পরিবর্তন করার চেষ্টা করা বৃথা