ভীত কেকের গল্প

এক শহরে এক মা থাকতেন। তার দুই সন্তান ছিলো। একজনের নাম শান্ত, আরেকজনের নাম চঞ্চল।

প্রতি সন্ধ্যায় শান্ত ও চঞ্চলের ক্ষুধা মেটানোর জন্য মা মজাদার নাস্তা তৈরি করতেন।

একদিন মা ভাবলেন, “আজ সন্ধ্যার নাস্তায় বাচ্চাদের কেক দিবো।” তাই দুপুর থেকে তিনি কেক বানাতে শুরু করলেন।

মাকে কেক বানাতে দেখে শান্ত ও চঞ্চল বেশ খুশি হলো। তারা মাকে বললো, “মা, এই কেকটি আমরা কখন খেতে পারবো?”

“আজ সন্ধ্যার নাস্তায় আমি তোমাদের কেকটি খেতে দিবো।”, এই বলে মা কেকের উপরে ফ্রস্ট দিয়ে কেকটি ডেকোরেট করতে লাগলেন।

ডেকোরেশন শেষ হওয়ার পর চঞ্চল বললো, “মা, কেক তো হয়েই গেছে। আমরা তো তাহলে এখনি কেকটি খেতে পারবো। তাইনা?”

মা বললেন, “না… ফ্রস্ট-টা কেকের সাথে ভালোভাবে মিশতে দাও। নইলে কেকটি খাওয়া যাবে না।” মা কেকটি রেখে অন্য কাজে চলে গেলেন।

চঞ্চল শান্তকে বললো, “শান্ত চলো, কেক খাই।” শান্ত বললো, “মা যেহেতু না বলেছে তাই আমার মনে হচ্ছে, কেকটি এখন খাওয়া ঠিক হবেনা।”

তবুও চঞ্চল টেবিল থেকে এক পিস কেক তুলে নিলো। কেকটি মুখে পুরতে যাবে এমন সময় কেকটি ভেঙে মাটিতে পড়ে গেলো।

মা চঞ্চলের কাণ্ড দেখে ফেললেন এবং বললেন, “দেখলে… এখন কেকে হাত দেওয়ার ফলে কী হলো! কেকটি ভয় পেয়ে মাটিতে পড়ে গেলো। কেককে ভয় দেখানোর জন্য আজ তোমাদের কাউকে কেক খেতে দেওয়া হবেনা।”

মায়ের কথা শুনে শান্ত ও চঞ্চল মন খারাপ করে বসে থাকলো।

শিক্ষা: বড়দের কথা শুনতে হয়