একদা নীলা নামের এক মেয়ে ছিল। তার দাদী তাকে অনেক ভালবাসতেন। দাদী নীলার সব আবদার পূরণ করতেন।
দাদীর একটি গয়নার বাক্স ছিল, সেইটাতে কারোই হাত দেওয়ার অনুমতি ছিল না। এমনকি নীলারও না।
একদিন দাদী এক প্রতিবেশীর বাসায় গেলেন, এই সুযোগে নীলা চুপ করে দাদীর গয়নার বাক্স খুলল।
বাক্সের গয়নাগুলো নাড়াচাড়া করে দেখতে গিয়ে দাদীর ব্রেসলেট নীলার হাত থেকে পড়ে ভেঙে গেল।
দ্রুত ব্রেসলেটটি গয়নার বাক্সে রেখে বাক্সটি বন্ধ করে জায়গামতো রেখে দিল নীলা। কিন্তু সারারাত তার ঘুম হলো না।
খুব অপরাধবোধে ভুগছিল নীলা। বেশ মন খারাপ হচ্ছিল তার। তাই সকালে উঠেই সে দাদীকে সব সত্য কথা বলল এবং ক্ষমা চাইল।
পছন্দের ব্রেসলেট নীলা ভেঙে ফেলেছিল বলে দাদী অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন ঠিকই; কিন্তু তিনি নীলাকে বকলেন না।
দাদী বললেন, “নীলা, তুমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছ এবং আমাকে সত্য বলেছ। তাই আমি খুব খুশি হয়েছি।
দাদুমনি, আমাকে কথা দাও পরবর্তীতে কারো অনুমতি ছাড়া তুমি তার জিনিসে হাত দিবেনা।”
নীলা কথা দিল। দাদী খুশি হয়ে নীলাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। এরপর নীলা আর কখনো কারো অনুমতি ব্যতিত তার জিনিসে হাত দেয়নি।
শিক্ষা: ভুল স্বীকার করবে এবং সেটি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে