যোগাযোগের গুরুত্ব

বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান এবং পরিবারের সকলের অনেক আদরের ছেলে তনি। সে-ও সবাইকে অনেক ভালোবাসে।

কিন্তু তনি তা প্রকাশ করেনা। কারো সাথে খুব একটা কথা বলেনা। এমনকি বাবা-মায়ের সাথেও তার অনুভূতি শেয়ার করেনা। সবসময় চুপচাপ থাকে।

একদিন তনির মা তাকে তাদের বাগানে নিয়ে গেলো। বাগানের একটি গাছে এক চড়ুই পাখির বাসা ছিলো।

সে বাসা দেখিয়ে মা তনিকে বললো, “দেখেছো, চড়ুই ছানারা কীভাবে মায়ের পাখার ভেতরে ঢুকে আদর নিচ্ছে, মায়ের মুখের কাছে গিয়ে কিচিরমিচির করছে?”

তনির মা আবার বললো, “চড়ুই ছানারা এমন কেনো করছে জানো?”

তনি উত্তরে “না” বললো। তনির মা বললো, “এইটা মায়ের সাথে পাখির ছানাদের কথা বলা ও যোগাযোগ করার ধরন।”

এবারে তনিকে তার মা বাসার সামনের রাস্তায় নিয়ে গেলো। সেখানে একটি কুকুর তার ছানাদের নিয়ে থাকতো।

একটি কুকুর ছানা খেলতে খেলতে পিঠে ব্যথা পেলো। তার মা সেই জায়গাটি জিহ্বা দিয়ে চেটে দিলো।

তাদের দেখিয়ে তনির মা বললো, “দেখেছো, কুকুর ছানাটি ব্যথা পেয়েছে তাই তার মা তাকে আদর করছে, ভালোবাসা প্রকাশ করছে?

আমাদের মতো পশুপাখিদেরও নিজস্ব একটা ভাষা আছে। সেই ভাষায় তারা মনের ভাব প্রকাশ করে। একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে।

আমাদের সকলেরই মনের ভাব প্রকাশ করা উচিত। একে অপরের সাথে কথা বলা উচিত। তাহলেই আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো গভীর হবে।”

মায়ের দেওয়া ছোট্ট ছোট্ট এই উদাহরণে তনি কথা বলা ও যোগাযোগের গুরুত্ব বুঝতে পারলো।

এরপর থেকে তনি আর চুপচাপ থাকতো না। পরিবারের সকলের সাথে মন খুলে কথা বলতো।

শিক্ষা: বাবা-মাকে মনের কথা বলা উচিত