একদিন রাজামশাই মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জাকে তাঁর দরবারে ডেকে পাঠালেন।
হোজ্জার জ্ঞানের নির্দেশনা পেতে রাজামশাই তাকে বললেন, “হোজ্জা, তুমি তোমার রসবোধ এবং জ্ঞানের জন্য সুপরিচিত। আমি চাই তুমি আমাকে সুখের মূলমন্ত্র বলো।”
হোজ্জা কিছুক্ষণ ভাবলেন। তারপর তিনি উত্তর দিলেন, “মহারাজ, সুখী হতে হলে আপনার কেবল একটি জিনিসের প্রয়োজন।”
কৌতূহলী রাজা হোজ্জার দিকে ঝুঁকে বললেন, “সেটা কী?”
হোজ্জা মুচকি হেসে বললেন, “আপনাকে সুখের পিছনে ছুটে বেড়ানো বন্ধ করতে হবে।”
হোজ্জার উত্তরে রাজা বিভ্রান্ত হলেন। বিস্মিত কণ্ঠে তিনি বললেন, “সুখের পিছনে ছুটে বেড়ানো বন্ধ করতে হবে!”
হোজ্জা ব্যাখ্যা করলেন, “ধন-সম্পদ বা ক্ষমতার মধ্যে কখনোই সুখ খুঁজে পাওয়া যায় না। আপনি যত বেশি এগুলোর পিছনে ছুটবেন, ততই এগুলো আপনার থেকে দূরে সরতে থাকবে। আমাদের যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা এবং বর্তমান নিয়ে বাঁচার মধ্যে প্রকৃত সুখ নিহিত।”
মোল্লার কথার প্রজ্ঞা বুঝতে পেরে রাজামশাই মাথা নাড়ালেন। তিনি উপলব্ধি করলেন সুখ কোনো গন্তব্য নয়, যা অর্জন করতে হবে; বরং এটি একটি মানসিক অবস্থা, যা লালন করতে হয়।
সেই দিন থেকে রাজামশাই সাধারণ জিনিসগুলোর মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাওয়া এবং বর্তমান নিয়ে বাঁচার প্রতি গুরুত্ব দিতে থাকলেন।