মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জার জীবনের গল্প শোনার জন্য রাজামশাই একদিন হোজ্জাকে তাঁর প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানালেন।
প্রাসাদে প্রবেশের সময় হোজ্জা দরজার পাশে রাজা’র জমকালো জুতো দেখতে পেলেন। জুতোটি মূল্যবান চামড়া দিয়ে তৈরি এবং রত্ন দিয়ে সজ্জিত।
হোজ্জা তার পরিধেয় পুরনো জুতোর দিকে তাকিয়ে হেসে উঠলেন। তিনি রাজার সাথে সাক্ষাৎ করলেন।
হোজ্জার সাথে কথোপকথনের সময় রাজা নিজের প্রাসাদ ও ধনসম্পদের প্রশংসা করে বললেন, “এমন বিলাসী জীবনযাপন করতে পারা কতটাই না সৌভাগ্যের, কী বলো হোজ্জা?”
হোজ্জা মুচকি হেসে উত্তর দিলেন, “মহারাজ, প্রাসাদে ঢুকেই আমি আপনার ধনসম্পদের চেয়েও মূল্যবান কিছু লক্ষ্য করেছি।”
কৌতূহলী রাজা জিজ্ঞেস করলেন, “আমার প্রাসাদ ও সম্পদের চেয়েও মূল্যবান আর কী হতে পারে?”
হোজ্জা রাজা’র জুতোর দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, “মহারাজ, আপনার এই জুতো। ভাবুন তো, আপনি যদি এটি না পেতেন তাহলে ঠাণ্ডা পাথরের মেঝেতে খালি পায়ে হাঁটা আপনার জন্য কতটা কষ্টকর ও অস্বস্তিকর হতো! প্রাসাদ যতই সুন্দর হোক না কেন, যদি সেখানে ছোটো ছোটো প্রয়োজনীয় জিনিস না থাকে তাহলে কোনোই আরাম নাই।”
রাজা হোজ্জার কথার প্রজ্ঞা বুঝতে পারলেন এবং হাসতে হাসতে সম্মতি জানালেন, “তুমি ঠিক বলেছো, হোজ্জা। আমরা প্রায়ই ছোটো ছোটো জিনিসগুলোকে অবহেলা করি, অথচ সেগুলোই আমাদের সবচেয়ে বেশি আরাম দেয়।”