মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জার প্রজ্ঞা সম্পর্কে কৌতূহলী হয়ে রাজা একদিন তাকে ডেকে পাঠালেন। রাজা হোজ্জাকে একটি ধাঁধা জিজ্ঞেস করলেন, “পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী জিনিস কী?”
কিছুক্ষণ চিন্তা করে হোজ্জা উত্তর দিলেন, “পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী জিনিস হলো ঋণ।”
হোজ্জার উত্তরে অবাক হয়ে রাজা বললেন, “ঋণ সবচেয়ে ভারী কীভাবে?”
মোল্লা নাসিরুদ্দিন ব্যাখ্যা করলেন, “মহারাজ, যত বেশি সময় ধরে আমরা ঋণের বোঝা বহন করার চেষ্টা করব, ততই তা ভারী হতে থাকবে।”
হোজ্জার প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তায় রাজা মুগ্ধ হলেন। তিনি বুঝতে পারলেন যে, সহজ একটি উপমার মাধ্যমে হোজ্জা ঋণের বোঝা এবং অন্যদের প্রতি ন্যায়বিচার ও সহানুভূতির গুরুত্ব সম্পর্কে একটি গভীর সত্য শেখালেন।
সেই দিন থেকে রাজা তাঁর প্রজাদের প্রতি আরো দয়ালু হলেন। কারণ তিনি উপলব্ধি করেছেন অন্যায়ের বোঝা যে কারো জন্য অত্যন্ত ভারী হতে পারে।