অনেকদিন আগের কথা। এক রাজ্যে হরিমহন নামের এক রাজা ছিলেন। একদিন তার খুব প্রিয় একটি আংটি হারিয়ে গেলো।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও রাজা হরিমহন যখন তার আংটিটি পেলেন না তখন তিনি একটি ঘোষণা দিলেন-
“আমার প্রিয় আংটিটি যে খুঁজে নিয়ে আসবে, আমি তাকে রাজকন্যার সাথে বিয়ে দিয়ে আমার মেয়ে জামাই বানাবো।”
রাজা হরিমহনের রাজ্যে তিন বন্ধু থাকতো। তাদের ৩টি অদ্ভুত শক্তি ছিলো। প্রথম বন্ধুর একটি জাদুর দরজা ছিলো। সেটির সাহায্যে সে সব কিছু দেখতে পেতো।
দ্বিতীয় বন্ধু শুয়ে শুয়ে কোনো খাবার কল্পনা করলে সেইটা খেয়ে ফেলতে পারতো। আর তৃতীয় বন্ধু শুয়ে থেকে যেকোনো জায়গার দূরত্ব কমিয়ে ফেলতে পারতো।
প্রথম বন্ধু তার জাদুর দরজা দিয়ে দেখলো, রাজা হরিমহনের আংটি সমুদ্রের এক পাথরে ধারে পড়ে আছে।
দ্বিতীয় বন্ধু সমুদ্রের ধারে শুয়ে সমুদ্রের সব পানি খেয়ে ফেলার কল্পনা করলো এবং মুহূর্তের মধ্যে সমুদ্রের সব পানি খেয়ে ফেললো সে।
এবারে তৃতীয় বন্ধু সমুদ্রের ধারে শুয়ে সমুদ্র সৈকত ও সেই পাথরের দূরত্ব কমিয়ে ফেললো। এই সুযোগে প্রথম বন্ধু আংটিটি তুলে আনলো।
তিন বন্ধু রাজাকে আংটিটি ফিরিয়ে দিতে গেলো। রাজা বেশ খুশি হলেন এবং কথামতো তিন বন্ধুকে তাঁর তিন কন্যার সাথে বিয়ে দিলেন।
শিক্ষা: দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ