بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ
وَطُورِ سِينِينَ
وَهَذَا الْبَلَدِ الْأَمِينِ
لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ
ثُمَّ رَدَدْنَاهُ أَسْفَلَ سَافِلِينَ
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَلَهُمْ أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُونٍ
فَمَا يُكَذِّبُكَ بَعْدُ بِالدِّينِ
أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَحْكَمِ الْحَاكِمِينَ
( بَلَى وَأَنَا عَلَى ذَلِكَ مِنَ الشَّاهِدِينَ )
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ওয়াততীন ওয়াঝঝাইতূন
ওয়া তূরি ছীনীন
ওয়া হা-যাল বালাদিল আমীন
লাক্বদ খলাকনাল ইং-ছা-না ফী-আহছানি তাক্বয়্যুইম
ছু ম্মা রাদাদ না-হু আছফালা ছা-ফিলীন
ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূওয়া’আমিলুসসা-লিহা-তি ফালাহুম আজরুন গাইরু মামনূন
ফামা-ইউকাযযি বুকা বা‘দুবিদ্দীন
আলাইছাল্লা-হু বিআহকামিল হা-কিমীন
( বালা; ওয়া ‘আলা আনা যালিকা মিনাশ শাহিদীন )
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
শপথ আঞ্জীর (ডুমুর) ও যয়তুনের (জলপাই),
এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তূর পর্বতের,
এবং এই নিরাপদ নগরীর।
আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে।
অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে।
কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে অশেষ পুরস্কার।
অতঃপর কেন তুমি অবিশ্বাস করছ কেয়ামতকে?
( হ্যাঁ, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি। )
(শেষের লাইনটি সূরা আত-ত্বীনের অংশ নয়। তবে সূরা আত-ত্বীন পড়ার পর লাইনটি অবশ্যই পড়তে হয় তাই সূরার সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে।)
আমাদের মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময় কিছু বয়স্ক লোক ছিলেন। অনেক বয়স হওয়ার কারণে তাঁরা বুঝতে পারতেন না, কোন কাজটি ঠিক আর কোনটি ভুল।
বয়স্ক লোকগুলো মাঝে মাঝে ভুল করে ভুল কাজ করতেন। এমন সময় মক্কার কিছু মানুষ মহানবী (সা.)-কে তাঁদের ব্যাপারে বললেন।
তখন মহান আল্লাহ তায়ালা এই সূরাটি নাযিল করলেন এবং সকলকে বললেন যে, এই বয়স্ক লোকগুলো যখন বুঝতে পারতেন কোনটা ঠিক কাজ আর কোনটা ভুল; তখন তাঁরা যে ভালো কাজগুলো করেছেন সেই ভালো কাজগুলোর জন্য অবশ্যই আল্লাহ তাঁদের পুরস্কার দিবেন।
যেহেতু এখন তাঁরা ঠিক কাজ ও ভুল কাজের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না তাই ভুল কাজগুলোর জন্য আল্লাহ তাঁদের কোনো শাস্তি দিবেন না।
কারণ মহান আল্লাহ তায়াল শ্রেষ্ঠতম বিচার করেন।