بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
إِذَا زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ زِلْزَالَهَا
وَأَخْرَجَتِ الْأَرْضُ أَثْقَالَهَا
وَقَالَ الْإِنسَانُ مَا لَهَا
يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا
بِأَنَّ رَبَّكَ أَوْحَى لَهَا
يَوْمَئِذٍ يَصْدُرُ النَّاسُ أَشْتَاتًا لِّيُرَوْا أَعْمَالَهُمْ
فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ
وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ইযা-ঝুলঝিলাতিল আরদুঝিলঝা-লাহা
ওয়া আখরাজাতিল আরদুআছকা-লাহা
ওয়া কা-লাল ইনছা-নুমা-লাহা
ইয়াওমাইযিন তুহাদ্দিছু আখবা-রাহা
বিআন্না রাব্বাকা আওহা-লাহা
ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াসদুরুন্না-ছুআশতা-তাল লিউউরাও আ‘মা-লাহুম
ফামাইঁ ইয়া‘মাল মিছকা-লা যাররাতিন খাইরাইঁ ইয়ারাহ
ওয়া মাইঁ ইয়া‘মাল মিছকা-লা যাররাতিন শাররাইঁ ইয়ারাহ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে,
যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।
এবং মানুষ বলবে, এর কী হল ?
সেদিন সে তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে,
কারণ, আপনার পালনকর্তা তাকে আদেশ করবেন।
সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে প্রকাশ পাবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হয়।
অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে
এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তখন মদিনা শহরে ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছিলেন। মদিনার লোকেরা ইসলাম গ্রহণও করছিল; কিন্তু তারা ইসলামের ব্যাপারে পুরোপুরি জানত না।
মদিনার লোকেরা ভাবছিল, পিচ্চি পিচ্চি ভালো কাজ করলে মহান আল্লাহ তায়ালা সেগুলোর হিসাব রাখেন না। ফলে সেগুলোর জন্য কোনো পুরস্কার পাওয়া যায় না।
ঠিক একইভাবে পিচ্চি পিচ্চি খারাপ কাজের হিসাবও মহান আল্লাহ তায়ালা রাখেন না এবং সেগুলোর জন্য কোনো শাস্তিও পেতে হয়না।
এমন সময় মহান আল্লাহ তায়ালা মদিনাবাসীর ভুল ভাঙাতে সূরা আল-যিলযাল নাযিল করলেন।
সূরা আল-যিলযাল’র মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা মদিনাবাসীকে জানালেন যে, তিনি পিচ্চি কিংবা বড় সব ধরনের ভালো ও খারাপ কাজের হিসাব রাখেন।
শুধু তা-ই না, যে যত পিচ্চি ভালো কাজই করুক না কেনো; মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে সেই ভালো কাজের পুরস্কার দিবেন।
এবং কেউ পিচ্চি পরিমাণ কোনো খারাপ কাজ করলে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে সেই খারাপ কাজের জন্য শাস্তি দিবেন।