সূরা আশ-শারহ / Surah Ash-Sharh / الشرح

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ

أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ

وَوَضَعْنَا عَنكَ وِزْرَكَ

الَّذِي أَنقَضَ ظَهْرَكَ

وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ

فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا

إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا

فَإِذَا فَرَغْتَ فَانصَبْ

وَإِلَى رَبِّكَ فَارْغَبْ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আলাম নাশরাহলাকা সাদরাক

ওয়া ওয়াদা‘না-‘আনকা বিঝরাক

আল্লাযীআনক্বদা জাহরাক

ওয়া রাফা‘না-লাকা যিকরাক

ফাইন্না মা‘আল ‘উছরি ইউছরা-

ইন্না মা‘আল ‘উছরি ইউছরা-

ফাইযা-ফারাগতা ফানসাব

ওয়া ইলা- রাব্বিকা ফারগাব

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি?

আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা,

যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃসহ।

আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।

নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।

নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।

অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।

এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যখন ইসলামের দাওয়াত দিতে শুরু করেন তখন তাঁকে অনেক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।

মুহাম্মদ (সা.) নবুয়ত প্রাপ্তির পর হঠাৎ করে ইসলামের দাওয়াত দিতে শুরু করায় মক্কার সকলে মহানবী (সা.)-এর উপর বেশ বিরক্ত হয়।

ফলে যারা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সম্মান করত তারা তাঁকে গালিগালাজ করা শুরু করে। কেউ কেউ আবার রাস্তাঘাটে তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করতে থাকে।

এছাড়াও প্রতিমুহূর্তে মহানবী (সা.) নতুন নতুন বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এত বাঁধার সম্মুখীন হয়ে তিনি ইসলাম প্রচারে বেশ নিরুৎসাহিতবোধ করছিলেন।

এমন সময় মহান আল্লাহ তায়াল মহানবী (সা.)-কে উৎসাহিত করতে সূরা আশ-শারহ / সূরা ইনশিরাহ নাযিল করেন।