بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
لِاِیۡلٰفِ قُرَیۡشٍ
إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ
فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَٰذَا الْبَيْتِ
الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنُم مِّنْ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
লিঈলা-ফি ক্বুরাইশ।
ঈলা-ফিহিম রিহলাতাশশিতাই ওয়াসসাঈফ।
ফালইয়া’বুদূ রাব্বা হাযাল বাইত।
আল্লাযী আত্য়ামাহুম মিন্ জু-ইওঁ ওয়া অমানাহুম মিন খাউফ।
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
যেহেতু কুরাইশরা অভ্যস্ত;
অভ্যস্ত শীত ও গ্রীষ্মের সফরে,
এই ঘরের রবের ইবাদাত তাদের করা উচিত।
যিনি তাদের ক্ষুধামুক্তি দিয়েছেন এবং নিরাপদ রেখেছেন।
অনেক বছর আগে মক্কা শহরে কুরাইশ নামের এক জাতি বাস করতো। তাঁরা কাবাঘরের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতেন। এই কারণে তাঁদের উপর আল্লাহর বিশেষ রহমত ছিলো।
ফলে কুরাইশরা শীত ও গ্রীষ্মে বিভিন্ন দেশে বেশ নিরাপত্তার সাথে যাতায়াত করতে পারতেন এবং সম্মানের সাথে ব্যবসা করতে পারতেন।
কিন্তু একটা সময় মক্কার মানুষেরা ভুলে গেলো যে, কাবা শরিফ আল্লাহর ঘর এবং এখানে শুধুমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করা উচিত।
তাই তারা কাবাঘরে মূর্তি পূজা করতে শুরু করলো। এমন সময় মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা কুরাইশ নাযিল করলেন।
সূরাটির মাধ্যমে আল্লাহ কুরাইশ বংশের লোকদের কাবাঘরে মূর্তিপূজা বন্ধ করে শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে নির্দেশ দিলেন।