স্যুপের ঘ্রাণ

একদিন এক দরিদ্র লোক একটি রেস্টুরেন্টের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সেখানে সুস্বাদু স্যুপের ঘ্রাণ বাতাসে ভাসছিল।

ক্ষুধায় দরিদ্র লোকটির পেট চোঁ চোঁ করছিল কিন্তু তার কাছে খাবার কেনার টাকা ছিল না। তাই রেস্টুরেন্টের দরজার পাশে দাঁড়িয়ে সে স্যুপের ঘ্রাণ নিতে লাগল।

রেস্টুরেন্টের মালিক রেগে গেল এবং দরিদ্র লোকটির কাছে গিয়ে চিৎকার করল, “টাকা ছাড়া কীভাবে তুমি আমার রেস্টুরেন্টের স্যুপের ঘ্রাণ উপভোগ করার সাহস করো!” 

রেস্টুরেন্টের মালিক দরিদ্র লোকটিকে টেনে হেঁচড়ে মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জার কাছে নিয়ে গেল। হোজ্জা মনোযোগ দিয়ে দুই পক্ষের কথা শুনলেন।

এরপর তিনি নিজের পকেট থেকে কয়েকটি মুদ্রা বের করলেন। সেগুলো নাড়িয়ে ঝনঝন আওয়াজ করে রেস্টুরেন্টের মালিককে বললেন, “দেখ, তোমার টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

রেস্টুরেন্টের মালিক বিভ্রান্ত হয়ে বলল, “কিন্তু হোজ্জা, আমি তো কোনো টাকা পাইনি।”

হোজ্জা মুচকি হেসে উত্তর দিলেন, “এই লোকটি যেমন তোমার স্যুপের ঘ্রাণ পেয়েছে, তেমনি তুমি শুধু টাকার শব্দ পেয়েছো। এটি একটি ন্যায্য বিনিময়।”

রেস্টুরেন্টের মালিক হোজ্জার প্রজ্ঞা উপলব্ধি করে চুপচাপ সেখান থেকে চলে গেল।