হ্যান্সেল ও গ্রেটেল

একদা এক কাঠুরে ছিলো। তার দুই সন্তান ছিলো। ছেলেটির নাম হ্যান্সেল ও মেয়েটির নাম গ্রেটেল। সৎ মায়ের ষড়যন্ত্রে হ্যান্সেল-গ্রেটেল একদিন বনে হারিয়ে গেলো।

বনে ঘুরতে ঘুরতে প্রচণ্ড ক্ষুধা পেলো হ্যান্সেল-গ্রেটেলের। এমন সময় তারা একটি বাসা দেখতে পেলো।

কেক ও চকলেট দিয়ে বানানো একটি বাসা। হ্যান্সেল-গ্রেটেল পেট ভরে কেক ও চকলেট খেলো।

হঠাৎ এক ডাইনি বুড়ি এসে বললো, “এই তোরা কে রে? আমার বাসার খাবার খাচ্ছিস!”

হ্যান্সেল-গ্রেটেল তাকে সব খুলে বললো। ডাইনি তাদেরকে বাসায় ঢুকতে দিলো।

এরপর ডাইনি হ্যান্সেলকে জেলখানায় বন্দী করে দিলো এবং গ্রেটেলকে দিয়ে বাসার সব কাজ করাতে লাগলো।

ডাইনি প্রতিদিন হ্যান্সেলকে অনেক অনেক খাবার খেতে দিতো যেনো সেগুলো খেয়ে হ্যান্সেল দ্রুত মোটা হতে পারে।

ডাইনি বলতো যে, হ্যান্সেল মোটা হলে সে তাকে খাবে। দেখতে দেখতে হ্যান্সেলকে খাওয়ার দিন চলে আসলো।

ডাইনি গ্রেটেলকে বললো, “দেখ তো, বড় চুলায় পানিটা গরম হয়েছে কিনা।”

বুদ্ধিমতী গ্রেটেল বললো, “দিদা, আমি তো অনেক ছোট তাই হাড়ির ভেতরে দেখতে পাচ্ছি না। তুমি কি একটু আসবে?”

পানি গরম হয়েছে কিনা দেখতে ডাইনি চুলার কাছে আসলো; এমন সময় গ্রেটেল ডাইনিকে ধাক্কা দিয়ে গরম পানিতে ফেলে দিলো।

ডাইনি পুড়ে গেলো। এরপর গ্রেটেল হ্যান্সেলকে জেলখানা থেকে মুক্ত করলো এবং দুই ভাইবোন বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলো।

পথে তারা এক রাজহাঁসের দেখা পেলো। রাজহাঁসটি তাদেরকে নদী পার করে বাসায় পৌঁছাতে সাহায্য করলো।

হ্যান্সেল ও গ্রেটেলকে পেয়ে তাদের বাবা কান্নায় ভেঙে পড়লো। তাদেরকে জড়িয়ে ধরে বাবা বললেন, “আমি আর কখনো তোমাদের হারিয়ে যেতে দিবো না, প্রিয় হ্যান্সেল-গ্রেটেল।”

শিক্ষা: সাহসের সাথে বিপদ মোকাবেলা করলে জয় আসবেই