সবার সুখে হাসব আমি
কাঁদব সবার দুখে,
নিজের খাবার বিলিয়ে দেব
অনাহারীর মুখে।
আমার বাড়ির ফুল-বাগিচা,
ফুল সকলের হবে,
আমার ঘরে মাটির প্রদীপ
আলোক দিবে সবে।
আমার বাড়ি বাজবে বাঁশি,
সবার বাড়ির সুর,
আমার বাড়ি সবার বাড়ি
রইবে না ক দুর।
কবিতার সারমর্ম ও মূলভাব:
“সবার সুখে” জসীমউদ্দীনের একটি মানবতাবাদী কবিতা, যা সমাজে সমানতা, সহানুভূতি, ও মানবতার প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করে। কবি এখানে তাঁর জীবন ও সম্পদ সকল মানুষের জন্য উৎসর্গ করতে চেয়েছেন। তিনি নিজের সুখে আনন্দিত হতে চান, তবে অন্যদের দুঃখেও অংশীদার হতে চান। তাঁর বাড়ির ফুল-বাগিচা, প্রদীপ, ও সুর সবার জন্য উন্মুক্ত—এমন একটি সমাজের ধারণা তিনি পোষণ করেছেন, যেখানে সবাই একে অপরের সুখ-দুঃখের অংশীদার এবং কোনো বিভাজন থাকবে না। এটি সামাজিক একতা, সহানুভূতি এবং মানবতার শক্তিশালী বার্তা দেয়।