অবশেষে বসন্তকাল এল। চারিদিকে ফুল ফুটে উঠল। প্রকৃতি নতুন সাজে সেজে উঠল। চারদিকে ঝলমলে রৌদ্রে। সে বড় সুখের সময়। সূর্যের বিয়ে হবে। চারিদিকে খবরটা রটে গেল।
সকল জীবজন্তুরা আনন্দে মেতে উঠল। চারিদিকে যেন আনন্দের হাট বসে গেল। সকল জীবজন্তুদের সঙ্গে ব্যাঙেরাও আনন্দে ধেই ধেই করে নাচতে লাগল। নেচে কুঁদে বেড়াতে লাগলো।
এই সব দেখে জিরাফ আর চুপ করে থাকতে পারল না। সে ব্যাঙেদের সম্বোধন করে বললো- “দূর দূর বোকা আর আহাম্মকের দল কোথাকার! সূর্যের বিয়েতে তোদের নাচন কোঁদন করতে লজ্জা করছে না!
এক সূর্যই গরমকালে খানা ডোবার জল শুকিয়ে সেগুলো কাঠ করে দেয়—তার বিয়ে হলে তার বউয়ের যদি ঐরকম একটা বাচ্চা হয় তাহলে তোদের দশা কী হবে একবার ভেবে দেখেছিস্?
তোদের সবাইকে জলের অভাবে ধনেপ্রাণে মরতে হবে। আর জীবজন্তুরাও রেহাই পাবে না। প্রাণিকুল জ্বলে-পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। অতএব সূর্যের বিয়েতে আনন্দ করার কিছুই নেই।”
এইসব শুনে ব্যাঙেরা হকচকিয়ে গিয়ে নাচন কোঁদন ত্যাগ করে ভাবতে বসলো। তাই তো জিরাফ তো ঠিকই বলেছে।
উপদেশ: মগজে বস্তু না থাকলে যদিও আনন্দ করবার কিছু নেই, তবুও তা নিয়ে লোকে আনন্দ করে থাকে।