মা কাঁকড়া ও বাচ্চা কাঁকড়ার গল্প

একদা এক সমুদ্র সৈকতে একটি মা কাঁকড়া বাস করতো। তার একটি ছোট্ট বাচ্চা ছিলো।

একদিন মা কাঁকড়া সমুদ্র সৈকতে বসে আরাম করছিলো এবং তার বাচ্চাটা সৈকতে খেলাধুলা করছিলো। খেলতে খেলতে বাচ্চা কাঁকড়া অনেকদূরে চলে গেলো।

তাই তার উদ্দেশ্যে মা কাঁকড়া বললো, “বাবা, বেশি দূরে যেয়ো না। কতবার বলেছি, এলোমেলোভাবে হাঁটতে হয় না! সোজাসুজি হাঁটবে।”

বাচ্চা কাঁকড়াটি মায়ের কথামতো হাঁটতে অনেক চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না।

তাই সে মাকে বললো, “মা, আমাকে একটু দেখিয়ে দিবে কীভাবে হাঁটতে হয়? আমি তোমার কাছ থেকে শিখে নিতে চাই।”

মা কাঁকড়া হেঁটে বাচ্চা কাঁকড়াকে দেখাতে লাগলো। কিন্তু মা কাঁকড়াটিও সোজাপথে হাঁটতে পারলো না। সেও অনিচ্ছাকৃতভাবে এদিক ওদিক চলে যাচ্ছিলো।

অনেক চেষ্টার পরেও মা কাঁকড়াটি সোজাপথে তো হাঁটতে পারলোই না বরং সোজা পথে হাঁটতে গিয়ে সে বারবার হোঁচট খেতে লাগলো। বেশ লজ্জা পেলো মা কাঁকড়া।

সে বাচ্চা কাঁকড়াকে বললো, “আচ্ছা বাবা, সমস্যা নেই। তুমি এলোমেলোভাবেই হাঁটো।” মায়ের কথা শুনে বাচ্চা কাঁকড়া বেশ খুশি হলো এবং মনের সুখে হাঁটতে লাগলো।

শিক্ষা: তুমি যেই কাজটি করতে পারো না সেইটি অন্যের কাছে আশা করবে না