এক গ্রামে এক চাষী বাস করত। তার সঙ্গে থাকত তার একমাত্র সুন্দরী মেয়ে। একদিন এক বনের সিংহ মেয়েটিকে দেখে সরাসরি চাষীর কাছে গিয়ে প্রস্তাব দিল—
তোমার মেয়েকে আমি বিয়ে করতে চাই। তোমার মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে দেবার বন্দোবস্ত কর।
সিংহের এই প্রস্তাব শুনে চাষীর মুখটা শুকিয়ে এতটুকু হয়ে গেল। চাষী বড় চিন্তায় পড়ে গেল। সিংহের মত জন্তুকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান তার সাহসে কুলোলো না।
অথচ একটা বনের হিংস্র জন্তুর সঙ্গে তার আদরের মেয়ের বিয়ে দিতে হবে জেনে বুকটা ফেটে যেতে লাগল।
চাষী চুপ করে আছে দেখে সিংহ গর্জন করে বলল- “কী হল? চট্পট্ কাজে লেগে পড়।”
চাষী প্রথমটায় হচকিয়ে গেলেও শেষে তার মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল। সে সিংহকে বলল, “তা তো বটে, তা তো বটে, তোমার মত বনের রাজা আমার জামাই হবে, সে তো আমারই সৌভাগ্য। হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি রাজি। তবে কিনা—”
সিংহটি বলল, “তবে কী? চুপ করে থেকো না বলে ফেল।”
চাষীটি তখন আমতা আমতা করে বলল, “আমার মেয়ের যে আবার তোমার নখ আর দাঁতের জন্যে বড় ভয়, তুমি তোমার দাঁতগুলি ভেঙে এবং নখগুলি কেটে এসো।
তা হলেই আমি আমার মেয়ের সঙ্গে তোমার বিয়ে দেব। আমি সব ব্যবস্থা করে রাখছি কেমন?”
চাষীর মুখে এই কথা শুনে সিংহ খুশিতে ডগমগ হয়ে তার দাঁত ভেঙে, নখ কেটে এসে হাজির হল চাষীর বাড়িতে।
চাষী তখন লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সিংহের জন্যে অপেক্ষা করছিল। সিংহ আসতেই চাষী ও তার লোকজনরা চারিদিক দিয়ে সিংহকে আক্রমণ করে মেরে ফেলল।
উপদেশ: অন্যের কথায় অভিভূত হয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়৷