একদা এক উট ও এক শিয়াল এক নদীর ধারে পানি খেতে আসলো। পানি খেতে খেতে একটি আঁখের ক্ষেত চোখে পড়লো তাদের।
উট বললো, “শিয়াল, চলো আঁখের ক্ষেত থেকে আঁখ খেয়ে আসি?” শিয়াল রাজি হলো।
শিয়ালকে পিঠে নিয়ে উট সাঁতরে সাঁতরে নদীর ঐ পাড়ে আঁখের ক্ষেতে গেলো। প্রাণ ভরে আঁখ খেলো তারা।
আঁখ খাওয়া শেষে শিয়াল বললো, “আঁখগুলো এত সুস্বাদু ছিলো যে খুশিতে আমার গান গাইতে মন চাচ্ছে।”
আঁখ খেতে খেতে উট বললো, “এখন না, একটু পরে। আমার খাওয়া শেষ হোক। তারপর মনের সুখের গান গেয়ো। এখন তোমার গান শুনে যদি ক্ষেতের মালিক চলে আসে তাহলে আমাকে আঁখ খেতে দেখে মারধর করবে।”
উটের কথা না শুনেই শিয়াল গান গাইতে শুরু করলো। উট যা ভয় করছিলো তাই-ই হলো।
ক্ষেতের মালিক এসে উটকে আঁখ খেতে দেখে তাকে বেধড়ক পেটাতে লাগলো। শিয়াল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মজা দেখতে থাকলো।
কোনোমতে সেখান থেকে পালিয়ে আসলো উট। উটের সাথে শিয়ালও আসলো নদীর পাড়ে এবং উটের সামনে মিছেমিছি দুঃখ প্রকাশ করতে লাগলো।
উট ভাবলো, এইবার শিয়ালকে শিক্ষা দিতেই হবে। সে শিয়ালকে বললো, “চলো, ফিরে যাই।” আবারো উটের পিঠে উঠলো শিয়াল।
“শিয়াল, এত মার খেয়ে আমার খুব ক্লান্ত লাগছে। আমি নদীতে বসে একটু জিরিয়ে নিতে চাই।”, নদীর মাঝামাঝি গিয়ে উট বললো এবং নদীর মাঝে বসে পড়লো।
উট নদীতে বসামাত্রই নদীর পানিতে ভাসতে লাগলো শিয়াল। ভয়ে “বাঁচাও! বাঁচাও!!” বলে চিৎকার করতে লাগলো সে।
শিয়ালের অবস্থা দেখে উট বললো, “এইবার তোমার উচিত শিক্ষা হয়েছে।”
শিক্ষা: ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়