সিংহ মহারাজের অসুখ

হঠাৎ একদিন সিংহ মহারাজ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। বনের সব প্রাণী তাকে দেখতে আসলো। জেব্রাও সিংহকে দেখতে আসলো।

জেব্রা বললো, “সিংহ মহারাজ, আপনি তো বেশ অসুস্থ মনে হচ্ছে। আপনার মুখ দিয়েও দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।”

জেব্রার কথা শুনে সিংহ বেশ রেগে গেলো এবং তাকে বন থেকে বেরিয়ে যেতে আদেশ দিলো। এবারে হায়না সিংহকে দেখতে এলো।

হায়নাও অনুভব করলো, সিংহ কথা বললে তার মুখ দিয়ে বেশ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কিন্তু হায়না জানতো, সত্য কথা বলায় জেব্রার কী পরিণতি হয়েছে।

তাই সে সিংহের সাথে কথা বলতে বলতে নাকে একটি সুগন্ধি ফুল লাগিয়ে নিলো। এতে বেশ রেগে গেলো সিংহ। 

হায়নাকে জিজ্ঞেস করলো, “হায়না, তুমিও কি আমার মুখে গন্ধ অনুভব করছো?” হায়না বললো, “না, হুজুর।”

সিংহ বললো, “তাহলে নাকে সুগন্ধি ফুল লাগালে কেনো?” হায়না উত্তর দিলো, “এই ফুলের গন্ধটা আমার বেশ পছন্দ তাই সারাক্ষণ আমি এইটা নাকে লাগিয়ে ঘুরি, হুজুর।”

হায়নাকে বিদায় দিয়ে সিংহ তার মন্ত্রী শিয়ালকে ডাকলো। জিজ্ঞেস করলো, “শিয়াল, সত্যি করে বলোতো, আমার মুখ দিয়ে কি আসলেই দুর্গন্ধ বের হচ্ছে?”

এমন জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে শিয়াল বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলো। সে ভাবলো, সিংহ মহারাজের মুখে দুর্গন্ধের কথা স্বীকার করলে যদি তার মন্ত্রীত্ব বাতিল হয়ে যায়!

আবার মন্ত্রী হিসেবে সে রাজাকে মিথ্যা আশ্বাসও দিতে পারবে না তাই শিয়াল বুদ্ধি খাটিয়ে বললো, “হুজুর, আমার ঠান্ডা লেগেছে, নাক বন্ধ। তাই আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।”

এভাবে শিয়াল তার মন্ত্রীত্ব রক্ষা করলো।

শিক্ষা: জটিল পরিস্থিতে বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে কথা বলতে হয়