উড়ন্ত ট্রলি

একদা কৃষ্ণনগর রাজ্যের রাজকন্যা রাজপ্রাসাদের ছাদে আটকা পড়লো। কোনোভাবেই ছাদ থেকে নেমে আসতে পারছিলো না সে।

রাজাসহ পুরো রাজ্যের মানুষ বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলো। এমন সময় কৃষ্ণনগরের এক ছেলে তার উড়ন্ত ট্রলি নিয়ে রাজকন্যাকে উদ্ধার করতে আসলো।

উড়ন্ত ট্রলিতে বসে ছেলেটিকে আসতে দেখে রাজা মশাই ভাবলেন, ছেলেটি চাঁদের দেশ থেকে এসেছে। তাই তিনি রাজকন্যার সাথে ছেলেটির বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

রাজকন্যার বর পাওয়া গেছে এই আনন্দে রাজা মশাই পুরো রাজ্যে আতশবাজি ফুটানোর নির্দেশ দিলেন। সবাই বেশ আনন্দিত ছিলো।

রাজকন্যাকে উড়ন্ত ট্রলিতে বসিয়ে ছেলেটি যখন তাকে ধীরে ধীরে নিচে নিয়ে আসছিলো তখন এক বিপত্তি ঘটলো।

একটি আতশবাজির আগুন ছিটে এসে উড়ন্ত ট্রলিতে পড়লো এবং উড়ন্ত ট্রলি ফুটো হয়ে গেলো। ছেলেটি রাজকন্যাকে সাবধানে ট্রলি থেকে নিচে নামালো।

নিচে এসে ছেলেটি রাজকন্যাকে বললো-

“রাজকুমারী, আমি চাঁদের দেশের মানুষ নই। আমি সাধারণ একজন বালক। আপনাকে বিপদ দেখে আমি থাকতে পারিনি তাই সাহায্য করেছি।”

রাজকন্যা বললো, “তুমি চাঁদের দেশের মানুষ না হলেও তুমি অসাধারণ একজন মানুষ। তোমার মন অনেক পরিষ্কার।”

রাজকন্যা আরো বললো, “আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই যদি তুমি আমাকে কথা দাও, তুমি সর্বদা এমন সৎ ও পরোপকারী থাকবে।”

ছেলেটি বললো, “এ তো আমার সৌভাগ্য, রাজকুমারী! আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি আমি সারাজীবন এমন সৎ ও পরোপকারী থাকবো।”

ধুমধাম করে ছেলেটির সাথে রাজকন্যার বিয়ে হলো। তারা দুইজন সুখেশান্তিতে বসবাস করতে লাগলো।

শিক্ষা: আমাদের ভালো গুনগুলোই আমাদের অসাধারণ করে তোলে