জ্যাক ও শিম গাছ

বহুকাল আগের কথা। এক বিধবা মহিলা তার ছেলে জ্যাক ও একটি পোষা গরুকে নিয়ে বেশ অভাবে দিন কাটাচ্ছিলো।

একদিন জ্যাকের মা তাকে বললো, “বাবা জ্যাক, গরুটা বাজারে বিক্রি করে আয়। সেই টাকা দিয়ে অন্তত আমরা কয়েকদিনের খাবার জোগাড় করতে পারবো।”

গরুটি বাজারে বিক্রি করতে যাওয়ার পথে জ্যাকের একটি লোকের সাথে দেখা হলো। লোকটি জ্যাককে কিছু ম্যাজিক বিন দিয়ে গরুটি কিনে নিলো।

ম্যাজিক বিন নিয়ে বাসায় ফিরে আসলো জ্যাক। টাকার পরিবর্তে ম্যাজিক বিন নিয়ে আনায় জ্যাকের মা বেশ বিরক্ত হলো। রাগে সে বিন-গুলো ছুঁড়ে ফেললো।

পরদিন সকালে জ্যাক ঘুম থেকে উঠে দেখলো, বিন-গুলো থেকে বড় একটি শিম গাছ তৈরি হয়েছে।

জ্যাক দৌড়ে গিয়ে শিম গাছে উঠলো। শিম গাছের চূড়ায় পৌঁছে সে একটি প্রাসাদ দেখতে পেলো।

প্রাসাদের ভেতরে গিয়ে জ্যাক বিশাল এক দৈত্য, একটি মুরগী ও একটি গোল্ডেন হার্প দেখতে পেলো। জ্যাকের আর বুঝতে বাকি রইলো না, এটি এই দৈত্যের প্রাসাদ।

দৈত্য মুরগীটিকে বললো, “ডিম পাড়।” মুরগী সাথে সাথে সোনার ডিম পাড়লো। এরপর সে সোনালী হার্পকে বললো, “আমাকে গান শোনাও।”

হার্প দৈত্যকে মধুর সুরে একটি গান শোনালো। গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লো  দৈত্য। এই সুযোগে জ্যাক মুরগী ও হার্প নিয়ে পালিয়ে আসতে লাগলো।

এমন সময় হার্পটি চিৎকার করে উঠলো, “মালিক, উঠুন। একটি ছেলে আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। উঠুন, মালিক। উঠুন।”

দৈত্যের ঘুম ভেঙে গেলো। সে জ্যাককে তাড়া করলো। জ্যাক দ্রুত নিচে নেমে আসলো এবং চিৎকার করলো, “মা, আমাকে বাঁচাও।”

জ্যাকের মা দ্রুত একটি কুড়াল নিয়ে এসে শিম গাছটি কেটে ফেললো। দৈত্যটি মাটিতে পড়ে গেলো এবং দৈত্যের উপরে শিম গাছটি পড়লো।

প্রাণে বেঁচে গেলো জ্যাক। দৈত্যের মুরগীর সোনালী ডিম বাজারে বিক্রি করে জ্যাক ও তার মা বেশ স্বচ্ছল হয়ে উঠলো এবং সুখেশান্তিতে বসবাস করতে লাগলো।

শিক্ষা: সুযোগ আসলে সেইটা গ্রহণ করতে হয়