ফুল কুমারী ও রাজপুত্র

এক রাজ্যে এক সাহসী রাজপুত্র ছিলো। একদিন এক বয়স্ক মহিলা সাহায্যের জন্য সেই রাজপুত্রের কাছে আসলো।

রাজপুত্র বললেন, “বলুন বুড়িমা, আমি কীভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?”

বয়স্ক মহিলা বললো, “আমাদের ফুল রাণীর মেয়ে ফুল কুমারীকে একটি দৈত্য আটকে রেখে। আপনি ওকে উদ্ধার করুন, রাজকুমার।”

রাজপুত্র রাজি হলেন। বয়স্ক মহিলা রাজকুমারকে একটি ঘন্টা দিয়ে বললো, “রাজকুমার, এইটা রাখুন। বিপদে আপনার কাজে আসবে।”

ফুল কুমারীকে উদ্ধার করতে যাওয়ার পথে রাজপুত্রের এক বয়স্ক লোকের সাথে দেখা হলো।

লোকটি তাকে বললো, “রাজপুত্র, তুমি একজন অশ্বপালের মতো পোশাক পরে দৈত্যের কাছে যাবে এবং তাকে বলবে, তুমি তার ঘোড়ার রক্ষণাবেক্ষণ করতে এসেছো।”

রাজপুত্র বয়স্ক লোকটির কথামতো পোশাক পরিধান করলেন এবং দৈত্যকে বললেন, “হে প্রভু, আমি আপনার অশ্বপাল হিসেবে এসেছি।”

যেহেতু রাজপুত্রের পোশাক অশ্বপালের মতো ছিলো তাই দৈত্য তাঁকে বিশ্বাস করলো এবং আস্তাবলে যেতে দিলো।

আস্তাবল থেকে দৈত্যের ঘোড়া নিয়ে রাজপুত্র ফুল কুমারীকে উদ্ধার করলেন। ফুল কুমারীকে নিয়ে ফেরার পথে দৈত্য তাঁদের পিছু নিলো।

রাজপুত্র ফুল কুমারীকে ঘন্টাটা দিয়ে বললেন, “ফুল কুমারী, আমি ঘোড়া ছুটাচ্ছি। আপনি এই ঘন্টাটি বাজাতে থাকুন।”

ফুল কুমারী ঘন্টা বাজাতে থাকলো। ঘন্টার শব্দে দৈত্যের মাথা ঝিমঝিম করতে লাগলো, সে আর রাজকুমারদের পিছু নিতে পারলো না।

এভাবে সাহসী রাজকুমার ফুল কুমারীকে দৈত্যের কবল থেকে মুক্ত করলো।

শিক্ষা: সাহসের সাথে যেকোনো সমস্যা মোকাবেলা করলে বিজয় আসবেই