লিটল রেড রাইডিং হুড

একদা এক বনের পাশের একটি গ্রামে লিটল রেড রেইডিং হুড নামের ছোট এক মেয়ে থাকত। বনের আরেক পাশে তার দাদীর বাসা ছিলো।

একদিন লিটল রেড রাইডিং হুডের মা তাকে একটি ঝুড়ি দিলো দাদীকে দিয়ে আসার জন্য। মা তাকে বললো, “লিটল রেড রাইডিং হুড, অপরিচিত কারো সাথে কথা বলবে না কিন্তু।”

সম্মতি জানিয়ে লিটল রেড রাইডিং হুড দাদীর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। জঙ্গলের ভেতরে দিয়ে যাওয়ার পথে সুন্দর ফুল গাছ দেখতে পেলো সে।

ফুলগুলো নিয়ে গেলে দাদী অনেক খুশি হবে ভেবে লিটল রেড রাইডিং হুড ফুল তুলতে লাগলো। এমন সময় একটি নেকড়ে তাকে দেখতে পেলো।

নেকড়ে লিটল রেড রাইডিং হুডকে জিজ্ঞেস করলো, “কোথাও যাচ্ছো, ছোট্ট মেয়ে?” ফুল তুলতে তুলতে রেড রাইডিং হুড নেকড়েের প্রশ্নের উত্তর দিলো।

লিটল রাইডিং হুড ফুল তুলতে এতই ব্যস্ত ছিলো যে, সে ভুলেই গেলো মা তাকে অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছে।

দাদীকে ডাকতে ডাকতে লিটল রেড রাইডিং হুড দাদীর বাসায় ঢুকলো। কিন্তু কোনো সাড়া পেলো না।

দাদীর ঘরে ঢুকে লিটল রেড রাইডিং হুড দেখলো, দাদী কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। দাদীর কানটা একটু অস্বাভাবিক বড় লাগছে।

লিটল রেড রাইডিং হুড দাদীকে জিজ্ঞেস করলো, “দাদী, তোমার কানটা এত বড় লাগছে কেনো?”

দাদী উত্তর দিলো, “তোমার কথা যেনো স্পষ্ট শুনতে পাই তাই, সোনা।” দাদীর কণ্ঠ শুনে অবাক হলো লিটল রেড রাইডিং হুড।

দাদীকে জিজ্ঞেস করলো, “দাদী, তোমার কণ্ঠ এমন অদ্ভুত শোনাচ্ছে কেনো!?” দাদী উত্তর দিলো, “আমার ঠান্ডা লেগেছে, সোনা।”

দাদী লিটল রেড রাইডিং হুডকে কাছে ডাকলো। যেই না লিটল রেড রাইডিং হুড দাদীর কাছে গেলো ওমনি কম্বলের ভেতর থেকে বনের ঐ নেকড়েটা বেরিয়ে আসলো।

নেকড়ে বললো, “আমি তোমাকে খাবো বলে অনেকক্ষণ থেকে তোমার দাদী সেজে এখানে শুয়ে আছি। এসো ছোট্ট সোনা, এবার তোমাকে খেয়ে তোমার দাদীকে মুক্তি দেই।”

লিটল রাইডিং হুড দাদীর ঘর থেকে পালিয়ে গেলো এবং সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে লাগলো।

এমন সময় এক লোক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো। লিটল রেড রাইডিং হুডের চিৎকার শুনে লোকটি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসলো।

লোকটি লিটল রেড রাইডিং হুডকে নেকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করলো এবং তার দাদীকেও উদ্ধার করলো।

শিক্ষা: অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতে নেই