স্নো হোয়াইট ও সাত বামন

অনেক বছর আগে এক প্রাসাদে তুষারের মতো ধবধবে সাদা এক ছোট্ট রাজকুমারী ছিল। সবাই তাকে স্নো হোয়াইট ডাকত।

স্নো হোয়াইটের সৎ মা সেই রাজ্যের রাণী ছিল। রাণীর একটি জাদুর আয়না ছিল। জাদুর আয়নাকে সে প্রতিদিন জিজ্ঞাসা করত,

“আয়না! আয়না!!

দেয়ালের আয়না!

কে বেশি সুন্দরী,

আমায় তুই বল না?”

জাদুর আয়না প্রতিদিন একই উত্তর দিত,

“সে আবার বলতে!

তুমি ছাড়া আবার কে!”

দেখতে দেখতে স্নো হোয়াইট বড় হলো। এরপর একদিন রাণী তার জাদুর আয়নাকে একই প্রশ্ন করল। কিন্তু জাদুর আয়না একই উত্তর দিল না।

জাদুর আয়না বললো,

“সে হলো দুধের মতো ব্রাইট

নাম তার স্নো হোয়াইট!”

রাণী হিংসায় জ্বলে পুড়ে গেল এবং স্নো হোয়াইটকে গভীর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলার নির্দেশ দিলো।

রাণী বলল, “রাজশিকারী, তুমি স্নো হোয়াইটকে মেরে প্রমাণস্বরূপ তার হৃদপিণ্ডটা আমার কাছে নিয়ে আসবে।”

স্নো হোয়াইটকে মারতে গিয়ে রাজশিকারীর তার উপর মায়া হলো। সে স্নো হোয়াইটকে ছেড়ে দিল এবং একটি হরিণের হৃদপিণ্ড নিয়ে গিয়ে রাণীকে দিল। 

বনের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে স্নো হোয়াইট একটি বাসা দেখতে পেল। ক্লান্ত স্নো হোয়াইট সেই বাসায় ঢুকে ঘুমিয়ে পড়ল।

বাসাটি ছিল সাত বামনের। বামনরা রাতে বাসায় ফিরল। তারা স্নো হোয়াইটকে দেখে অবাক হলো।

স্নো হোয়াইট তাদের সব খুলে বলার পর বামনরা স্নো হোয়াইটকে তাদের সাথে থাকতে বলল। স্নো হোয়াইট খুশি হলো। রাতে সকলে একসাথে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।

সেই রাতে রাণী তার আয়নাকে আবার জিজ্ঞেস করল,

“আয়না! আয়না!!

দেয়ালের আয়না!

কে বেশি সুন্দরী,

আমায় তুই বল না?”

জাদুর আয়না আবারো স্নো হোয়াইটের নাম নিল। রাণী রাগে গজগজ করতে লাগল। এবার নিজ হাতে স্নো হোয়াইটকে মারার সিদ্ধান্ত নিল সে।

পরদিন সকালে বুড়ি সেজে রাণী সাত বামনের বাসায় গেল এবং স্নো হোয়াইটকে একটি বিষ মিশ্রিত আপেল খেতে দিল।

বনের পশুপাখিরা দ্রুত বামনদের খবর দিল। বামনরা বাসায় ফিরে দেখল, স্নো হোয়াইট ইতিমধ্যে বিষাক্ত আপেল খেয়ে ফেলেছে।

বামনরা ডাইনিকে প্রতিহত করল এবং দ্রুত স্নো হোয়াইটকে বিছানায় শোয়ায়ে তার জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করতে লাগল। কিন্তু লাভ হলো না।

কিছুদিন পর এক রাজপুত্র ঘোড়ায় চেপে বামনদের বাসায় আসল। রাজপুত্র স্নো হোয়াইটের সৌন্দর্য দেখে চমকে উঠল।

বামনদের কাছে সব শুনে রাজকুমার স্নো হোয়াইটের দুই চোখে চুমু খেল এবং স্নো হোয়াইট জেগে উলো।

রাজপুত্র স্নো হোয়াইটকে নিজের রাজ্যে নিয়ে গেল। সেখানে তারা সুখেশান্তিতে বসবাস করতে লাগল।

শিক্ষা: কখনো নিজেকে নিয়ে অহংকার করতে নেয়