একদা এক মা ছাগলের সাতটি ছানা ছিলো। প্রতিদিনের মতো সেদিনও মা ছাগল তার ছানাদের বাসায় রেখে খাবারের সন্ধানে গেলো।
যাওয়ার আগে পই পই করে ছানাদের বলে গেলো, “আমি ছাড়া অন্য কেউ আসলে মোটেও দরজা খুলবে না।”
মা ছাগল চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর একটি নেকড়ে মা ছাগলের মতো পোশাক পরে তাদের বাসায় আসলো। দরজা নক করলো নেকড়ে।
ছাগল ছানারা জানতে চাইলো, “কে?”
কয়েকটি চক খেয়ে নেকড়ে তার কণ্ঠটা মা ছাগলের মতো করে নিলো। এরপর উত্তর দিলো, “আমি সোনামণিরা, তোমাদের মা।”
দরজার নিচ দিয়ে ছাগল ছানারা মায়ের মতো জুতা দেখতে পাচ্ছিলো। সেইসাথে তারা মায়ের মতো কণ্ঠও শুনতে পেলো। তাই নিঃসঙ্কোচে বাসার দরজা খুললো।
যেই না তারা বাসার দরজা খুললো, অমনি দুষ্ট নেকড়ে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো।
একটি ছাগল ছানা বাদে বাকি সব ছানাদের খেয়ে ফেললো সে। ঘড়ির পিছে লুকিয়ে থাকায় নেকড়ে কোনোভাবেই সেই ছানাটিকে খুঁজে পেলো না।
মা ছাগল বাসায় আসামাত্রই ছাগল ছানাটি মাকে সব খুলে বললো। ছাগল ছানাকে নিয়ে মা ছাগল নেকড়েটিকে খুঁজে বের করলো।
নেকড়ে গভীর ঘুমে ছিলো। মা ছাগল নেকড়ের পেট কেটে তার ছয়টি ছানাকে বের করলো এবং নেকড়ের পেটে অনেকগুলো পাথর ঢুকিয়ে সেলাই করে দিলো।
ঘুম থেকে উঠে নেকড়ে নদীতে পানি খেতে গেলো। পাথরের ভারে নদীতে পড়ে গেলো সে। আর উঠতে পারলো না।
শিক্ষা: অন্যকে বিপদে ফেললে নিজেকেই বিপদে পড়তে হয়