এক দুষ্ট বিড়ালের গল্প

একদা এক গাছের গুঁড়িতে একটি পাখি বাস করতো। একদিন খাবারের সন্ধানে সে অনেক দূরে গেলো। এমন সময় বাসা খুঁজতে থাকা এক খরগোশ পাখির বাসাটি ফাঁকা পেয়ে সেখানে থাকতে শুরু করলো।

পাখিটি ফিরে এসে দেখলো, খরগোশ তার বাসা দখল করে নিয়েছে। “এই যে জনাব, তুমি কে? আমার বাসায় কী করছো?”, পাখিটি খরগোশকে জিজ্ঞেস করলো।

খরগোশ উত্তর দিলো, “বাসাটি ফাঁকা পেয়ে আমি এখানে থাকতে শুরু করেছি। এখন এটি আমার বাসা।” একথা শুনে পাখি বলে, “আমি এখন চলে এসেছি। আমাকে আমার বাসা ছেড়ে দাও।”

অনেকক্ষণ ঝগড়া চলে দুইজনের। তাদের ঝগড়ায় বিরক্ত হয়ে আশেপাশের পশুপাখিরা তাদেরকে একজন বিচারকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিলো। বললো, “শুধুমাত্র একজন বিচারকই পারবে তোমাদের এই সমস্যার সমাধান দিতে।”

গাছের নিচে দুই চোখ বন্ধ করে ঋষির বেশে বসেছিলো একটি বিড়াল। পাখি ও খরগোশ সিদ্ধান্ত নিলো বিচারের দায়িত্বটি সেই বিড়ালকেই দিবে। খরগোশ এবং পাখি দুইজনেই একে একে বিড়ালকে তাদের সমস্যার কথা বললো।

“আমি তোমাদের কোনো কথাই ঠিকমত শুনতে পাচ্ছি না। তোমরা এক কাজ করো, আমার কানের কাছে এসে বিষয়টা আবার আমাকে বলো”, এক চোখ খুলে বিড়ালটি তাদেরকে বললো। 

তারা দুইজন বিড়ালের কাছে গেলো। খরগোশ ও পাখি বিড়ালের কাছাকাছি যেতেই বিড়াল তাদের থাবা দিয়ে ধরে নিলো। এবং তাদেরকে খেয়ে রাতের খাবার সম্পন্ন করলো।

শিক্ষা: দুষ্টরা অন্যের বিপদের সুযোগ নিয়ে তাদের ক্ষতি করে