সূরা আল-ক্বদর / Surah Al-Qadr / القدر

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ

إِنَّآ أَنزَلْنَٰهُ فِى لَيْلَةِ ٱلْقَدْرِ

وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا لَيْلَةُ ٱلْقَدْرِ

لَيْلَةُ ٱلْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ

تَنَزَّلُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ

سَلَٰمٌ هِىَ حَتَّىٰ مَطْلَعِ ٱلْفَجْرِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

ইন্নাআনঝালনা-হু ফী লাইলাতিল ক্বদর

ওয়ামাআদরা-কা-মা-লাইলাতুল ক্বদর

লাইলাতুল ক্বদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর

তানাঝঝালুল মালাইকাতুওয়াররুহু ফীহা-বিইযনি রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমর

ছালা-মুন হিয়া হাত্তা-মাতলা‘ইল ফাজর

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

নিঃসন্দেহ আমি এটি অবতারণ করেছি মহিমান্বিত রজনীতে।

শবে-কদর (মহিমান্বিত রাত) সম্বন্ধে আপনি কি জানেন?

শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।

এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।

এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

একদিন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর অনুসারীদের ইসরাইল বংশের এক যোদ্ধার কথা বলছিলেন।

ইসরাইল বংশের যোদ্ধাটি একটানা ১ হাজার মাস তাঁর দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন।

ফলে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর উপর অনেক খুশি হয়েছিলেন এবং সেই যোদ্ধার জন্য জান্নাতে অঢেল পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছিলেন। 

যোদ্ধার ঘটনাটি জানার পর মহানবী (সা.)-এর অনুসারীরা বেশ অবাক হলেন। এমন সময় মহান আল্লাহ তায়ালা এই সূরাটি নাযিল করেন।

এই সূরার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের ক্বদরের রাতের ব্যাপারে জানান।

ক্বদরের রাতে ইবাদত করলে এক হাজার রাতের ইবাদতের চেয়েও বেশি পরিমাণ পুরস্কার পাওয়া যায়। অর্থাৎ ক্বদরের রাতে নামাজ পড়লে আমরা সেই যোদ্ধার থেকেও বেশি পুরস্কার পাবো।