সূরা আল-বাইয়্যিনাহ / Surah Al-Bayyinah / البينة

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ

لَمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ مُنفَكِّينَ حَتَّى تَأْتِيَهُمُ الْبَيِّنَةُ

رَسُولٌ مِّنَ اللَّهِ يَتْلُو صُحُفًا مُّطَهَّرَةً

فِيهَا كُتُبٌ قَيِّمَةٌ

وَمَا تَفَرَّقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ إِلَّا مِن بَعْدِ مَا جَاءتْهُمُ الْبَيِّنَةُ

وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاء وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ

إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أُوْلَئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ

إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُوْلَئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ

جَزَاؤُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ رَبَّهُ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

লাম ইয়াকুনিল্লাযীনা কাফারূমিন আহলিল কিতা-বি ওয়াল মুশরিকীনা মুনফাক্কীনা হাত্তাতা’তিয়াহুমুল বাইয়্যিনাহ

রাছূলুম মিনাল্লা-হি ইয়াতলূসুহুফাম মুতাহহারাহ

ফীহা-কুতুবুন কাইয়িমাহ

ওয়ামা- তাফাররাকাল্লাযীনা ঊতুলকিতা-বা ইল্লা- মিম বা‘দি মা- জাআতহুমুল বাইয়্যিনাহ

ওয়ামাউমিরূইল্লা-লিয়া‘বুদুল্লা-হা মুখলিসীনা লাহুদ্দীনা হুনাফাআ ওয়া ইউকীমুসসালা-তা ওয়া ইউ’তুঝঝাকা-তা ওয়া যা-লিকা দীনুল কাইয়িমাহ

ইন্নাল্লাযীনা কাফারূমিন আহলিল কিতা-বি ওয়াল মুশরিকীনা ফী না-রি জাহান্নামা খা-লিদীনা ফীহা- উলাইকা হুম শাররুল বারিইইয়াহ

ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি উলাইকা হুম খাইরুল বারিইইয়াহ

জাঝাউহুম ‘ইনদা রাব্বিহিম জান্না-তু‘আদনিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু খা-লিদীনা ফীহাআবাদার রাদিয়াল্লা-হু ‘আনহুম ওয়া রাদূ ‘আনহু যা-লিকা লিমান খাশিয়া রাব্বাহ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের ছিল, তারা প্রত্যাবর্তন করত না যতক্ষণ না তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসত।

অর্থাৎ আল্লাহর একজন রসূল, যিনি আবৃত্তি করতেন পবিত্র সহীফা,

যাতে আছে, সঠিক বিষয়বস্তু।

অপর কিতাব প্রাপ্তরা যে বিভ্রান্ত হয়েছে, তা হয়েছে তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পরেই।

তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।

আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা।

তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে তাদের প্রতিদান চিরকাল বসবাসের জান্নাত, যার তলদেশে নির্ঝরিণী প্রবাহিত। তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এটা তার জন্যে, যে তার পালনকর্তাকে ভয় কর।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মের আগে ইহুদি ও নাসারা বংশের অনেকেই বলত যে, শেষ নবী অর্থাৎ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে আসলে তারা ইসলাম গ্রহণ করবে।

কিন্তু মহানবী (সা.) যখন ইসলামের দাওয়াত দিতে শুরু করেন তখন তারা আর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেনা বরং একইভাবে মূর্তি পূজা ও প্রাণী পূজা করতে থাকে।

এমন সময় মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা আল-বাইয়্যিনাহ নাযিল করেন এবং উপরের ঘটনাটি আমাদের জানান।

সূরা আল-বাইয়্যিনাহ’র মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের এটাও জানান যে, আমরা যদি তাঁর ইবাদত করি তাহলে আল্লাহর কাছে যাওয়ার পর মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে অনেক সুন্দর একটি পুরস্কার দিবেন, জান্নাত।