গৃহস্থের একদিন

একদেশে এক রাখাল ছিল। সে মাঠে মাঠে গোরু চরিয়ে বেড়াতো। তার বাড়িতে কতকগুলি পোষা কুকুরের বাচ্চাও ছিল। একদিন পথে সে একটি সদ্যজাত নেকড়ের বাচ্চা কুড়িয়ে পেয়েছিল।

রাখাল সেই নেকড়ের বাচ্চাটিকে বাড়িতে নিয়ে এসে তার বাড়ির কুকুরের বাচ্চার সঙ্গে পালন করতে লাগল। ক্রমে কুকুরের বাচ্চাগুলোর সঙ্গে নেকড়ের বাচ্চাটিও বড় হয়ে উঠল। 

নেকড়টা বড় হবার পর যখনই বাইরের কোনো নেকড়ে এসে পাল থেকে কোনো গোরু ধরে নিয়ে যেত তখন এ সে কুকুরগুলোর সঙ্গে তার পেছন পেছন ধাওয়া করত।

বনের নেকড়েটাকে কুকুরগুলো ধরতে না পেরে কুকুরগুলো শেষমেষ ফিরে আসত। কিন্তু ঘরের নেকড়েটা ফিরতো না। সে ছুটতে ছুটতে গিয়ে একসময় তার নাগাল পেত। তখন দুইজন মিলে মজা করে সেই গোরুটা খেত৷

এছাড়া বাইরে থেকে কোনো নেকড়ে না এলেও ঘরের নেকড়েটা লুকিয়ে প্রায়ই নিজের পালের এক একটা গোরু মেরে কুকুরগুলোর সঙ্গে মিলেমিশে ভাগ করে খেতো।

রাখাল কিছুতেই বুঝতে পারত না, কী করে তার পাল থেকে গোরু কমে যাচ্ছে। কিন্তু কথায় আছে চোরের দশদিন আর গৃহস্থের একদিন।

গোরু কমে যাওয়ার কারণ বুঝতে পেরে রাখাল খুব রেগে গেল এবং সে কৌশলে নেকড়েটাকে ধরে তাকে একটা গাছের ডালে ফাঁসি দিয়ে মারল।

উপদেশ: দুষ্কৃতিবৃত্তি যার রক্তে মিশে আছে তাকে কিছুতেই সৎলোকে পরিণত করা যায় না।