খেলনা রহস্য

প্রিয় পুতুলটা বারান্দায় রেখে দরজার পাশে লুকিয়ে আছে ছোট্ট ডোরা। ডোরাকে দেখে মা বললেন, “গোসলের সময় তুমি এখানে কী করো, ডোরামনি? গোসল করতে হবে, চলো…”

নিজের ঠোঁটে আঙুল দিয়ে ডোরা মাকে ধীরে কথা বলতে ইশারা করলো। ফিসফিস করে বললো, “একটু পরে আসছি।”

গত কয়েকদিন থেকে ডোরা বারান্দায় যেই খেলনা রেখেই গোসলে যাক না কেনো, এসে দেখে খেলনাটি এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে অথবা ভেঙে গেছে।

এসময় ডোরার বড় ভাই স্কুলে থাকে, বাসায় থাকে শুধু মা আর ডোরা; তাহলে কে ডোরার খেলনা করছে নষ্ট সেই রহস্য আজ সে উদঘাটন করেই ছাড়বে।

মা জিজ্ঞেস করলেন, “কতক্ষণ? আমার আরো কাজ আছে তো, মা।”

ডোরা বললো, “আজকে এই রহস্যের একটা সমাধান করেই ছাড়ব।”

অবাক হয়ে মা জিজ্ঞেস করলেন, “কীসের রহস্য?!”

মায়ের দিকে তাকিয়ে ডোরা তার খেলনার ঘটনা বলতে যাচ্ছিল এমন সময় সে একটি ছায়া দেখতে পেলো এবং নিজে নিজেই বলে উঠল, “এই যে পেয়েছি!”

ডোরার মা বেশ কৌতূহলী হলেন। তিনিও ডোরার পাশে লুকিয়ে খেলনাটির দিকে নজর রাখতে থাকলেন।

একটি বিড়াল ছানা চুপি চুপি ডোরার পুতুলের কাছে এসে দাঁড়ালো। এরপর আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো যে, কেউ তাকে দেখছে কি না।

খেলার ছলে বিড়াল ছানাটি ডোরার প্রিয় পুতুলে আঁচড় দিতেই যাচ্ছিল এমন সময় মা বিড়াল ছানাটিকে খপ করে ধরে ফেললেন।

খুশিতে ডোরা হাততালি দিতে লাগলো আর বললো, “তাহলে তুমিই প্রতিদিন আমার খেলনা এলোমেলো করো, দুষ্টু বিড়াল!!”

মা ডোরাকে বুঝিয়ে বললেন, বিড়াল ছানাটির বন্ধুর অভাব তাই সে ডোরার খেলনা নিয়ে খেলা করতে আসে।

একথা শুনে ডোরা বললো, “বিড়াল ছানা, তুমি আর বন্ধুর জন্য মন খারাপ করো না। আজ থেকে আমি তোমার বন্ধু।”

“এসো আমরা খেলা করি’, এই বলে মায়ের হাত থেকে ডোরা বিড়াল ছানাটিকে নিলো এবং তার সাথে খেলা করতে লাগলো।